ETV Bharat / state

অভিষেক গড়ে হুংকার দিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন নওশাদ সিদ্দিকী

Nawsad Siddique on Mamata-Abhishek: মোনপুরের চাদনগরের মাঠে প্রকাশ্য জনসভা করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। প্রকাশ্য সভা মঞ্চ থেকে কার্যত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নওশাদ।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 28, 2024, 9:04 PM IST

ডায়মন্ড হারবার, 28 জানুয়ারি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবার ৷ সেই গড়েই রবিবার হুংকার দিতে শোনা গেল ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। রবিবার মোনপুরের চাঁদনগরের মাঠে জনসভা করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সভা মঞ্চ থেকে কার্যত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নওশাদ। তিনি বলেন, "আমি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ব বলেছি তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘন ঘন ডায়মন্ড হারবার আসছেন। যখন আমি নমিনেশন ফাইল করব তখন ডায়মন্ড হারবার লোকসভার বিভিন্ন বিধানসভাগুলিতে বাড়ি বানিয়ে তিনি থাকবেন।"

তাঁর কথায়, "মডেলের নামে যেভাবে শোষণ চলছে, সেই শোষণ থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র আইএসএফ। তৃণমূল আর বিজেপির ঠিক করুক দ্বিতীয় আর তৃতীয়কে হবে ! ওদের মধ্যে বোঝাপড়া করেনি ডায়মন্ড হারবারে এক নম্বরে আইএসএফ আসছে। ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে যদি বাম কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সহাবস্থান করে তাহলে সেই জোট থেকে আমি নিজেকে সরিয়ে নেব।" অন্যদিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলবদলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নীতীশ কুমারে উপর ভরসা রাখা কোনওমতেই সম্ভব নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওমতেই চায় না যে ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক।"

নওশাদের দাবি, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় চায় কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকুক ৷ তাহলে পশ্চিমবঙ্গে যে পকেট ভোট ব্যাংকগুলিকে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পকেট ভোট ব্যাংকের বলেই নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে।" ভাঙড় বিধানসভায় একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের কর্মী-সমর্থকরা কেউ মন থেকে তৃণমূলে যোগদান করছে না ৷ তাদেরকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। মন থেকে তারা আইএসএফ। ভোটের সময় তারা আইএসএফকেই ভোট দেবে।" সিএএ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি জোরালো আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে।

রাজনৈতিক মহলের মধ্যে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে যে, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকী ভোটে দাঁড়িয়ে আখেরে সুবিধা করে দেবে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপিকে। সেই প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, "তৃণমূলে ভোট দিয়ে লাভটা বা কি হচ্ছে ? সিএএ-র বিরুদ্ধে যখন ভোটাভুটি হচ্ছিল তখন অভিষেকবাবু কোথায় ছিলেন ? তৃণমূলের সাতখানা সাংসদ সেই সময় অনুপস্থিত ছিলেন। বাংলার মানুষ সব বুঝতে পেরে গিয়েছে। তৃণমূলের অবস্থান যে জায়গায় এসে পৌঁছেছে বরং তৃণমূল ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করে দেবে।"

আরও পড়ুন

  1. বিহারের উন্নয়নে কোনও খামতি রাখবে না এনডিএ, নীতীশের শপথের পর বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
  2. বিজেপি নেতাদের হাত-পা ভাঙার নিদান দিয়ে বিতর্কে মালদার তৃণমূল সভাপতি
  3. রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা, জনসমুদ্রে ভাসল জলপাইগুড়ি

ডায়মন্ড হারবার, 28 জানুয়ারি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবার ৷ সেই গড়েই রবিবার হুংকার দিতে শোনা গেল ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। রবিবার মোনপুরের চাঁদনগরের মাঠে জনসভা করেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সভা মঞ্চ থেকে কার্যত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন নওশাদ। তিনি বলেন, "আমি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ব বলেছি তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘন ঘন ডায়মন্ড হারবার আসছেন। যখন আমি নমিনেশন ফাইল করব তখন ডায়মন্ড হারবার লোকসভার বিভিন্ন বিধানসভাগুলিতে বাড়ি বানিয়ে তিনি থাকবেন।"

তাঁর কথায়, "মডেলের নামে যেভাবে শোষণ চলছে, সেই শোষণ থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র আইএসএফ। তৃণমূল আর বিজেপির ঠিক করুক দ্বিতীয় আর তৃতীয়কে হবে ! ওদের মধ্যে বোঝাপড়া করেনি ডায়মন্ড হারবারে এক নম্বরে আইএসএফ আসছে। ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে যদি বাম কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সহাবস্থান করে তাহলে সেই জোট থেকে আমি নিজেকে সরিয়ে নেব।" অন্যদিকে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলবদলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নীতীশ কুমারে উপর ভরসা রাখা কোনওমতেই সম্ভব নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওমতেই চায় না যে ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক।"

নওশাদের দাবি, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় চায় কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকুক ৷ তাহলে পশ্চিমবঙ্গে যে পকেট ভোট ব্যাংকগুলিকে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পকেট ভোট ব্যাংকের বলেই নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে।" ভাঙড় বিধানসভায় একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের কর্মী-সমর্থকরা কেউ মন থেকে তৃণমূলে যোগদান করছে না ৷ তাদেরকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। মন থেকে তারা আইএসএফ। ভোটের সময় তারা আইএসএফকেই ভোট দেবে।" সিএএ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি জোরালো আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে।

রাজনৈতিক মহলের মধ্যে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে যে, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকী ভোটে দাঁড়িয়ে আখেরে সুবিধা করে দেবে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপিকে। সেই প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, "তৃণমূলে ভোট দিয়ে লাভটা বা কি হচ্ছে ? সিএএ-র বিরুদ্ধে যখন ভোটাভুটি হচ্ছিল তখন অভিষেকবাবু কোথায় ছিলেন ? তৃণমূলের সাতখানা সাংসদ সেই সময় অনুপস্থিত ছিলেন। বাংলার মানুষ সব বুঝতে পেরে গিয়েছে। তৃণমূলের অবস্থান যে জায়গায় এসে পৌঁছেছে বরং তৃণমূল ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করে দেবে।"

আরও পড়ুন

  1. বিহারের উন্নয়নে কোনও খামতি রাখবে না এনডিএ, নীতীশের শপথের পর বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
  2. বিজেপি নেতাদের হাত-পা ভাঙার নিদান দিয়ে বিতর্কে মালদার তৃণমূল সভাপতি
  3. রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা, জনসমুদ্রে ভাসল জলপাইগুড়ি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.