কলকাতা, 26 জুলাই: প্রতিদিনের বিলের সঙ্গে জানাতে হবে রোগীর শারীরিক অবস্থা ৷ নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের। নার্সিংহোমে রোগীকে ভর্তি করার পর থেকেই সন্দেহ ও উদ্বিগ্নতা দেখা যায় রোগীর পরিবারের মধ্যে। কী চিকিৎসা হচ্ছে, তাই নিয়েই প্রশ্ন থাকে রোগীর পরিবারের ৷ অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পরিবার বা আত্মীয়ের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় বিরাট অংকের বিল। যে কারণে অনেক সময় নার্সিংহোম ও রোগীর পরিবারের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয় । তা এড়াতেই বিশেষ এই ব্যবস্থা স্বাস্থ্য কমিশনের ।
স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইদানিং বেসরকারি স্থাস্থ্যকেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশি আসছে ৷ যদিও তালিকা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য কমিশন মনে করছে নার্সিংহোমের অসহযোগিতা । কারণ রোগীর কী চিকিৎসা হচ্ছে, আদৌ সেই চিকিৎসা দরকার কি না, সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্য রোগীর পরিবার বা আত্মীয় না-দেওয়ার অভিযোগ ওঠে । নিয়ম অনুযায়ী কোনও রোগী ভর্তি হলে, সেই রোগীর পরিবারকে কাউন্সিলিং করানো উচিত বেসরকারি হাসপাতালগুলির। ওই রোগীর কি হয়েছে, সেই বিষয়ে কাউন্সিলিংয়ের পুরোটা বলা হয়। কিন্তু, স্বাস্থ্য কমিশন খতিয়ে দেখছে অধিকাংশ নার্সিংহোম এই নিয়ম মানে না।
বেশ কিছু নার্সিংহোম রোগী ভর্তির পর একটি প্রাথমিক বিল রোগীর পরিবারের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এবার থেকে শুধু বিল নয়, এবার থেকে প্রতিদিন রোগীর শারীরিক অবস্থাও জানাতে হবে নার্সিংহোমগুলিকে ৷ স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ, নার্সিংহোমে রেজিস্টার করা রোগীর পরিবার বা আত্মীয়ের মোবাইল নম্বরে বিলের পাশাপাশি জানাতে হবে রোগীর শারীরিক অবস্থাও ৷ রোগী যদি ক্রিটিক্যাল বিভাগে ভর্তি থাকেন, তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এসএমএস-এর মাধ্যমে জানাতে হবে প্রত্যেকদিন।
এছড়াও সাধারণ বিভাগে কেউ ভর্তি থাকলে একদিন অন্তর তাঁর শারীরিক অবস্থা রোগীর পরিবারকে জানাতে হবে এসএমএসের মাধ্যমে। শুধু শারীরিক অবস্থা নয়, সেখানে উল্লেখ থাকবে ওই রোগীর সমস্ত রিপোর্ট, কোন চিকিৎসক এবং কেন দেখেছেন-সহ সমস্ত তথ্য। এর ফলে স্বাস্থ্য কমিশন মনে করছে ধীরে ধীরে নার্সিংহোম এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে একটি সু-সম্পর্ক গড়ে উঠবে। অভিযোগের মাত্রা কমবে।