কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর: মুখ্যসচিব পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরে বৃহস্পতিবারই সমস্ত দফতরের সচিব এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মনোজ পন্থ ৷ প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকেই পরিষেবা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক থেকে জেলাশাসকদের কাছে বিশেষ আর্জি রাখেন তিনি। সাধারণ মানুষের পরিষেবা নিশ্চিত করতে কাজে জোর দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যসচিব ৷
কোনওভাবেই পরিষেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বললেন মনোজ মুখ্যসচিব। ভগবতী প্রসাদ গোপালিকার পর রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে দায়িত্ব নিয়েছেন মনোজ পন্থ ৷ এই মুহূর্তে আরজি কর-কাণ্ডের জেরে উত্তাল রাজ্যরাজনীতি ৷ অস্থিরতার ছবি ধরা পড়ছে প্রতিদিনই ৷ মূলত এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, "যে কোনও সমস্যা নিয়ে মানুষ এলেই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। রাজ্য সরকার সমস্ত শ্রেণির মানুষের জন্য জনহিতকর প্রকল্প চালু করেছে ৷ সরকারের জনহিতকর প্রকল্পের সুবিধে যাতে সব উপভোক্তারা ঠিকমতো পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।"
এদিন মুখ্যসচিব আরও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের বাড়ি বাড়ি নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার যে প্রকল্প চলছে, বিভিন্ন প্রান্তে তা দ্রুত শেষ করতে হবে ৷ এদিনের বৈঠকে আবাস যোজনা নিয়ে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের ফের সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কারণ 2020 সালে আবাস নিয়ে শেষবার সমীক্ষা হয়েছিল ৷ তারপর থেকে আবাসের দাবিদাওয়া বর্তমানে কি অবস্থায় রয়েছে, তা নতুুন করে জানার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷
গ্রামীণ আবাস যোজনায় কেন্দ্র টাকা না-দিলেও রাজ্যই এই প্রকল্পের টাকা দেবে বলে আগে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই কথা একই কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই প্রকল্প সময় মত চালু করার ক্ষেত্রে যাতে রাজ্য সরকারের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য থাকে, তাই আবাস প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির জন্য জেলাশাসকদের উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে ৷
এছাড়াও কী কী প্রকল্পের রূপায়ণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে, কোন কোন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না, সে বিষয়েও তথ্য চেয়েছেন মুখ্যসচিব। এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের আমলা তথা সচিবদের মধ্যে সমন্বয়ের উপর জোর দিয়েছেন মনোজ পন্থ। বিশেষ করে জুনিয়র এবং সিনিয়রদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেই কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি। আমলাদের ভুলের জন্য যেন সরকারকে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে না-হয়, সে বিষয়ে প্রত্যেককে খেয়াল রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব ৷