কলকাতা, 8 জুলাই: সারা দেশে এখন পুরদস্তুর বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গে তো বটেই, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে সক্রিয় বর্ষা। সেই বর্ষার পালে বাড়তি হাওয়া দিতে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখা প্রায় একইসঙ্গে হাজির। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত।
পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে পশ্চিম অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখা বিহার, রাজ্যের হিমালয়ের পাদদেশ সিকিম ও উত্তর বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার সরাসরি প্রভাব পড়বে রাজ্যের হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলে। ফলস্বরূপ উত্তরবঙ্গের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
- সোমবার উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি তিনটি জেলাও একইরকম বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যে বৃষ্টি কমেছে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
- আগামিকাল উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও বাকি তিনটি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া, দুই 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
- 10 ও 11 তারিখ অর্থাৎ বুধবার ও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় প্রচুর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেরও প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে তা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের।
উত্তরবঙ্গজুড়ে বৃষ্টি এখন দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। চলতি মাসের প্রতিদিন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে নদীগুলো ফুঁসছে। পাহাড়ি পথে নিয়মিত ধস। সবমিলিয়ে দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী উত্তরবঙ্গের। বিশেষ করে ওপরের পাঁচটি জেলায় পরিস্থিতি ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। বুধবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে পাল্টানোর সম্ভাবনা নেই।
আজ দিনের আকাশ মেঘলা থাকবে। কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 34 ডিগ্রি এবং 28 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। রবিবার কলকাতা এবং তার আশেপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 33.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1.2 ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 27.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 0.9 ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ 91 শতাংশ ও সর্বনিম্ন 67 শতাংশ।