বর্ধমান, 12 সেপ্টেম্বর: অভীক দে'কে সাসপেন্ড করার পরে এবার চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে কমিটি গঠন করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। প্রতিবাদে সরব হয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামী অভীক দে, বীরূপাক্ষ বিশ্বাস-সহ বেশ কিছু চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অভীক দে'কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷
দাদাগিরি, তোলাবাজি থ্রেট কালচার-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে ডাক্তার অভীক দে'র বিরুদ্ধে। আরজি কর-কাণ্ডে বিতর্কের জেরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। পাশাপাশি তাঁর কলেজ ও হস্টেলে ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে চারজন চিকিৎসককে নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার কথাও বলা হয়েছে।
কমিটিতে আছেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাক্তার পীতবরণ চক্রবর্তী, ডায়মন্ড হারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল উৎপল দাঁ, ডিন ও অধ্যাপক ডাক্তার অভিজিৎ হাজরা ও ডাক্তার রামপ্রসাদ রায়। ওই বিশেষজ্ঞ কমিটিকে অভীক দে সম্বন্ধে সমস্ত বিষয় দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলকারী চিকিৎসক গৌরাঙ্গ প্রামাণিক বলেন, "বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এলটি রুম অর্থাৎ লেকচারার থিয়েটার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ 11 অগস্ট রাত এগারোটা নাগাদ সেই লেকচারার থিয়েটার খুলে তাঁর অনুগামী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন অভীক দে। সেখানে অভীক স্বীকার করেন 9 অগস্ট রাতে তিনি আরজি করে উপস্থিত ছিলেন। এমনকী সেদিন তিনি এও দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছেন । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেখে সেটাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।"
তিনি আরও বলেন, "বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হাউস স্টাফ কাউন্সেলিং-এর অথরিটির পাশের চেয়ারে অভীক দে বসেছিলেন। কোন অধিকারে তিনি ওই চেয়ারে বসেন ? শুধু তাই নয়, কলেজের গেস্ট রুমে অভীক দে'র জন্মদিন ও আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর অনুষ্ঠানও করা হয়। সবচেয়ে বড় কথা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগ আছে অভীক দে'র বিরুদ্ধে। তাই সকল ছাত্রছাত্রীরা তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।"