কলকাতা, 1 এপ্রিল: আচমকা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি ৷ নিজের চোখে পরিস্থিতি দেখতে রাতে 2টোয় জলপাইগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমি সেখানে যাব ৷ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখব ৷ সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব ৷" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও গতকালই এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ৷
রবিবার দুপুরে কয়েক মিনিটের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ এই ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে 4 জনের ৷ তাদের মধ্যে 3 জন পুরুষ এবং 1 জন মহিলা ৷ এই ঝড়ের তাণ্ডবে আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ ৷ তাদের চিকিৎসা চলছে শিলিগুড়িতে ৷ প্রায় 700টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ৷
সোমবার সকালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, "আপনারা সবাই জানেন, গতকাল প্রবল ঝড়ে জলপাইগুড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ তাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে ৷ আমরা সবাই এনিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি ৷ এমনকী গতকালই আমি ন্যাশনাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অথরিটির সদস্য এবং সচিবের সঙ্গে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ প্রয়োজনে তারা যেন সামগ্রী পাঠায়, তার অনুরোধ করেছি ৷ সব এজেন্সিগুলি একসঙ্গে কাজ করছে ৷"
মুখ্যমন্ত্রীর ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর কথাও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন ৷ আমিও যাব ৷ আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখব ৷ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব এবং কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করব ৷ এরপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব ৷ তাদের আইনি সাহায্য লাগলে তাও দেওয়া হবে ৷ ত্রাণসামগ্রীও বিলি করা হবে ৷ এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা ৷ হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁদের জন্য কী করা যায়, তাও খতিয়ে দেখা হবে ৷ যা যা সম্ভব, সেই সবকিছুই করা হবে ৷"
আরও পড়ুন: