ETV Bharat / state

গ্রামীন উন্নয়নের কাজে স্বচ্ছতা আনতে এবার কড়া পদক্ষেপ রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের - Nabanna on Panchayat Development

Department of Panchayats and Rural Development: গ্রামের উন্নয়নে সরকারি প্রকল্পে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার ৷ এবার সেই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন ৷ পঞ্চায়েতের কাজের উপর কড়া নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নবান্নের ৷

Nabanna
গ্রামীণ উন্নয়নে জোর নবান্নের (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 21, 2024, 6:51 PM IST

কলকাতা, 21 জুন: রাজ্যের গরিব, দুঃস্থদের কর্মসংস্থান, বাড়ি, রাস্তা, শৌচাগার-সহ গ্রামীন প্রকল্পে পঞ্চায়েতগুলির কাজে গড়িমসি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার ৷ অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 100 দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ৷ এই আবহে গ্রামীন উন্নয়নের কাজে স্বচ্ছতা আনতে চাইছে নবান্ন

রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সরকারি প্রকল্পগুলি গ্রামের গরিব মানুষের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে কি না, এবার সেই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানো হবে ৷ সরকারের তরফে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতকে দেওয়া অর্থ সঠিক খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেই হিসেবও এবার নেওয়া হবে বলে খবর ৷ সাম্প্রতিক সময়ে নবান্নের নজরে এসেছে, বেশ কিছু জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি তাদের কাজের হিসেব সময় মতো দাখিল করছে না । সেকারণে এবার সেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসল নবান্ন

নবান্ন সূত্রে খবর, সঠিক সময় হিসেব না দেওয়ার কারণ এবার ওই সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হবে ৷ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, "রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের সরল-আইএফএমএস পোর্টালের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার কথা জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলির । কিন্তু জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে মোট 26টি সংস্থা এখনও পর্যন্ত সেই হিসেব জমা দেয়নি । এক্ষেত্রে দফতরের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হবে এই ধরনের গাফিলতির কারণ কী ? কেন সঠিক সময়ে হিসেব জমা দেওয়া হল না !"

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে সরল-আইএফএমএস-এর মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার । ছোট থেকে বড়, সমস্ত খরচই এক্ষেত্রে পোর্টালে আপলোড করতে হবে জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে । কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক জায়গায় স্থানীয় প্রশাসন এক্ষেত্রে নবান্নের নির্দেশ অমান্য করেছে । এই অভিযোগ উঠেছে তিনটি জেলা পরিষদ এবং 23 টি পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে । নিয়ম অমান্য করা জেলা পরিষদের তালিকায় রয়েছে, কোচবিহার, নদিয়া এবং হুগলি । তাদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে ।

আগামী 25 জুন পঞ্চায়েত দফতরের একটি কর্মশালা রয়েছে । কর্মশালায় এই সমস্ত জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । রাজ্য সরকার মনে করছে, এই বিষয়গুলিতে স্বচ্ছতা না আনলে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে । আর সে কারণেই আগেভাগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলে খবর ৷

কলকাতা, 21 জুন: রাজ্যের গরিব, দুঃস্থদের কর্মসংস্থান, বাড়ি, রাস্তা, শৌচাগার-সহ গ্রামীন প্রকল্পে পঞ্চায়েতগুলির কাজে গড়িমসি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার ৷ অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 100 দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ৷ এই আবহে গ্রামীন উন্নয়নের কাজে স্বচ্ছতা আনতে চাইছে নবান্ন

রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সরকারি প্রকল্পগুলি গ্রামের গরিব মানুষের কাছে ঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে কি না, এবার সেই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানো হবে ৷ সরকারের তরফে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতকে দেওয়া অর্থ সঠিক খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেই হিসেবও এবার নেওয়া হবে বলে খবর ৷ সাম্প্রতিক সময়ে নবান্নের নজরে এসেছে, বেশ কিছু জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি তাদের কাজের হিসেব সময় মতো দাখিল করছে না । সেকারণে এবার সেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসল নবান্ন

নবান্ন সূত্রে খবর, সঠিক সময় হিসেব না দেওয়ার কারণ এবার ওই সমস্ত স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হবে ৷ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, "রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের সরল-আইএফএমএস পোর্টালের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার কথা জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলির । কিন্তু জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে মোট 26টি সংস্থা এখনও পর্যন্ত সেই হিসেব জমা দেয়নি । এক্ষেত্রে দফতরের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হবে এই ধরনের গাফিলতির কারণ কী ? কেন সঠিক সময়ে হিসেব জমা দেওয়া হল না !"

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে সরল-আইএফএমএস-এর মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার । ছোট থেকে বড়, সমস্ত খরচই এক্ষেত্রে পোর্টালে আপলোড করতে হবে জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে । কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক জায়গায় স্থানীয় প্রশাসন এক্ষেত্রে নবান্নের নির্দেশ অমান্য করেছে । এই অভিযোগ উঠেছে তিনটি জেলা পরিষদ এবং 23 টি পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে । নিয়ম অমান্য করা জেলা পরিষদের তালিকায় রয়েছে, কোচবিহার, নদিয়া এবং হুগলি । তাদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে ।

আগামী 25 জুন পঞ্চায়েত দফতরের একটি কর্মশালা রয়েছে । কর্মশালায় এই সমস্ত জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । রাজ্য সরকার মনে করছে, এই বিষয়গুলিতে স্বচ্ছতা না আনলে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে । আর সে কারণেই আগেভাগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলে খবর ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.