কলকাতা, 7 অগস্ট: পদ্মাপার থেকে যে সব অসহায় হিন্দুরা এপার বাংলায় প্রবেশ করতে চাইছেন তাঁদের অনুমতি দেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এমনই আবেদন জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বাংলাদেশের হিন্দুরা অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব রকম পদক্ষেপ করা হোক। সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলক কুমার। আর তারপরে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হল।
পাশাপাশি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক চন্দ্রনাথ দাস রাজ্য সরকারের কাছে কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখারও আবেদন জানিয়েছএন ৷ তাঁর কথায়, "এখানে হিন্দুদের উপর কোনওরকম হামলা যাতে না হয় সেই বিষয়ে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।" তাঁর দাবি, কলকাতার বহু জায়গায় বাংলাদেশের ঘটনার পর মিষ্টি বিলি করা হয়েছে ৷ এমনকী বাজিও ফাটানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "পড়শী দেশ থেকে হিন্দু শরণার্থী যাঁরা নিরুপায় হয়ে এদেশে প্রবেশ করতে চাইছেন তাদের যেন প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। ওখানে যাই ঘটুক না কেন হিন্দুদের উপরে যেন আক্রমণ না নেমে আসে। আফগানিস্তানের তালিবানিদের মত ছবি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। ছাত্রদের বুঝতে হবে, আরও সচেষ্ট হতে হবে ৷ হিন্দুদের মন্দির, বাড়ি ভাঙা হচ্ছে এটা লজ্জার এবং উদ্বেগের। মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে। সকলের উপর অত্যাচার হলেও হিন্দুদের উপর বেশি হচ্ছে।" এর পিছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সম্পাদকের কথায়, "ওই দেশের হিন্দুদের জীবন এবং সম্পত্তি যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই বিষয়টি ভারত সরকারকে নিশ্চিত করার আবেদন রইল। ওখানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা 32 থেকে 8 শতাংশে নেমে এসেছে ৷ আর এত কমে হওয়ার কারণ সবাই বোঝে। এবারও ওখানে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ভারতে আসার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে ৷" পাশাপশি ভারত সরকারের কাছে তাঁরা এও আবেদন রেখেছে, যাতে বাংলাদেশে যারা এই নৈরাজ্য, অত্যাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাঁদের যেন কোনওভাবেই এদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়।