বাঁকুড়া, 6 মার্চ: 30 সেন্টিমিটারের কম পরিধিযুক্ত গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছিল বন দফতর ৷ অভিযোগ, বনদফতরের সেই অনুমতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক মোটা গাছ কেটে পাচারের পরিকল্পনা করছিল কিছু আসাধু লোকজন ৷ কিন্তু তাদের সেই ফন্দি ভেস্তে দিল গ্রামের মানুষ । অবৈধভাবে কাটা গাছ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকাবাসীরা ৷ ঘটনাস্থলে আসে বন দফতর ৷ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের মদতেই চলছিল এই গাছ পাচার বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷
হদল নারায়ণপুর গ্রাম থেকে ধগড়িয়া পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার রাস্তার দু'ধারে রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের অসংখ্য সোনাঝুরি গাছ । সম্প্রতি বন দফতরের অনুমতি নিয়ে সেই গাছ কাটার টেন্ডার করে তৃণমূল পরিচালিত নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। গাছের দর ওঠে মোট 1 লক্ষ 55 হাজার টাকা । জানা গিয়েছে, বন দফতর ওই রাস্তার দুই ধারে থাকা 30 সেন্টিমিটারের কম পরিধি যুক্ত গাছ কাটার অনুমতি দেয় নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে । কিন্তু বাস্তবে হয় উলটো ৷ স্থানীয়রা দেখেন, অবৈধভাবে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে 30 সেন্টিমিটারের অধিক পরিধি যুক্ত গাছ । আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা ।
স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের নেতৃত্বে শুরু হয় বিক্ষোভ । স্থানীয়দের বিক্ষোভের কথা জানতে পারে এলাকায় হাজির হয় বন দফতরের আধিকারিকরা । ওই রাস্তার ধার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কেটে ফেলা একাধিক গাছ । বিক্ষোভকারী বিজেপি নেতা অনুপ ঘোষের দাবি, "গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের মদতেই অবৈধভাবে অনুমতি না নিয়ে 30 সেন্টিমিটারের অধিক পরিধিযুক্ত গাছ কেটে পাচারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল ।" তবে যে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অবশ্য এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি । তবে তৃণমূল নেতা সুব্রত দত্তর পালটা দাবি," এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লোকসভা নির্বাচন সামনে তাই বিজেপি এভাবেই অপপ্রচার চালাচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: