সন্দেশখালি, 29 ফেব্রুয়ারি: মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালত সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাকে ইতিমধ্যেই 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ আর তারপরই আনন্দে মেতেছে পুরো সন্দেশখালি ৷ শাহজাহানের গ্রেফতারিতে কার্যত হাঁফ ছেড়েছে সন্দেশখালি। ভোজাপাড়ায় উৎসবে মাতে গ্রামবাসীদের একাংশ। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা যায়। মহিলারা আনন্দে আবিরও খেলেন। শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনিও দিতেও দেখা যায় মহিলাদের। বাজি ফাটিয়েও শাহজাহানের গ্রেফতারি উদযাপনে মাতেন স্থানীয়রা ৷
প্রসঙ্গত, আগেই গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু এবং উত্তম সর্দার। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অজিত মাইতি নামে এক তৃণমূল নেতাকেও। কিন্তু ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর 55 দিন কেটে গেলেও নাগালের বাইরেই ছিলেন শাহজাহান। বুধবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে শাহজাহানকে। ইডির উপর হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে ৷ এদিন শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলার সময় তাঁকে একেবারে খোশমেজাজেই দেখা যায় ৷ উপর থেকে নীচ তাঁর পরনে সাদা পোশাকে ঢাকা ৷
সাদা পোশাকে শাহজাহানকে দেখে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা ৷ বিরোধীরা বলছে, তিনি যদিই সত্যি ফেরার থাকতেন তাহলে এইরকম আত্মবিশ্বাসী দেখায় কী করে! সেইসময় আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করেন শাহজাহানকে। কিন্তু সাদা কুর্তা, পাজামা, জওহর কোর্ট, পায়ে সাদা স্নিকার্স পরিহিত শাহজাহান একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। শুধু আঙুল নাড়িয়ে তাঁকে কিছু ইঙ্গিত করতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই পুলিশি ঘেরাটোপে ভবানী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শাহজাহানকে ৷ এদিকে এদিন সকলেই শাহজাহানের গ্রেফতারির কৃতিত্ব তৃণমূলের তরফে দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷
আরও পড়ুন: