ETV Bharat / state

শিশু কন্যাকে খুনের অভিযোগ, গণপিটুনিতে প্রাণ গেল অভিযুক্ত যুবকেরও

নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্তকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

FIVE YEAR OLD GIRL MURDER
পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে খুনের অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 1, 2024, 10:32 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 1 নভেম্বর: পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে খুনের অভিযোগ। আর সন্দেহের বশে অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা ৷ আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানা এলাকার একটি পুকুর ধারে শুক্রবার শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই অভিযুক্ত প্রতিবেশীর উপর হামলা চালায় এলাকাবাসী ৷ বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে ধরে বেধরক মারতে থাকেন স্থানীয় বাসীন্দারা। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

অভিযোগ, তাকে গাছে বেধে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে ফালাকাটার থানার পুলিশ গেলে, পুলিশের গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। পরে আলিপুরদুয়ার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনি ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, মেয়েটির বাবা-মা চাষের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সে সময় নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল শিশুটি। সন্ধ্যার পর মেয়েটির মা-বাবা ফিরে এসে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে পুলিশকে জানতে পেরেছে, শিশুটিকে শেষ বারের মত অভিযুক্তর সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। এমনকী তার বাড়ি থেকে একটি শিশুর কান্নার আওয়াজও পাওয়া যায়। পরে অবশ্য শিশুটির দেহ উদ্ধার হতেই অভিযুক্তকে আটক করে স্থানীয় বাসীন্দারা। এরপর তাকে গাছে বেধে শুরু হয় গনপিটুনি।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ। সেখানে জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। আক্রান্ত হন জটেশ্বর ফাড়ির ওসি অসীম মজুমদার। কোনওরকমে অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “একটি মেয়ে মারা গিয়েছে। এক ব্যক্তিও মারা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে।” ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর দুইজনের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এরপর সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

আলিপুরদুয়ার, 1 নভেম্বর: পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে খুনের অভিযোগ। আর সন্দেহের বশে অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা ৷ আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানা এলাকার একটি পুকুর ধারে শুক্রবার শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই অভিযুক্ত প্রতিবেশীর উপর হামলা চালায় এলাকাবাসী ৷ বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে ধরে বেধরক মারতে থাকেন স্থানীয় বাসীন্দারা। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

অভিযোগ, তাকে গাছে বেধে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে ফালাকাটার থানার পুলিশ গেলে, পুলিশের গাড়ি আটকেও বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। পরে আলিপুরদুয়ার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনি ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ৷

স্থানীয়দের অভিযোগ, মেয়েটির বাবা-মা চাষের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সে সময় নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল শিশুটি। সন্ধ্যার পর মেয়েটির মা-বাবা ফিরে এসে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে পুলিশকে জানতে পেরেছে, শিশুটিকে শেষ বারের মত অভিযুক্তর সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। এমনকী তার বাড়ি থেকে একটি শিশুর কান্নার আওয়াজও পাওয়া যায়। পরে অবশ্য শিশুটির দেহ উদ্ধার হতেই অভিযুক্তকে আটক করে স্থানীয় বাসীন্দারা। এরপর তাকে গাছে বেধে শুরু হয় গনপিটুনি।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ। সেখানে জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। আক্রান্ত হন জটেশ্বর ফাড়ির ওসি অসীম মজুমদার। কোনওরকমে অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “একটি মেয়ে মারা গিয়েছে। এক ব্যক্তিও মারা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে।” ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর দুইজনের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এরপর সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.