ETV Bharat / state

সালিশি সভা থেকে বধূ ও যুবককে রক্ষার চেষ্টা, পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ

সালিশি সভা থেকে বিচার ৷ বাধা দিলে পাল্টা পুলিশের উপর চড়াও হলেন গ্রামবাসীরা ৷ গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশ কর্মী ৷

MALDA KANGAROO COURT
সালিশি সভা থেকে পুলিশের উপর হামলা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

মালদা, 30 অক্টোবর: ভরদুপুরে গ্রামের এক আমবাগানে এক বধূ এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন ৷ সেই অভিযোগে দু’জনকে ধরে ফেলে কয়েকজন গ্রামবাসী ৷ এরপর কোনওরকমে গ্রামবাসীদের হাত থেকে পালিয়ে যান দু’জন ৷ সেখান থেকে ফের দু’জনকে ধরে নিয়ে যায় গ্রামবাসীরা ৷ বসে সালিশি সভা।

সেই সালিশি সভা থেকে পুলিশ এই দু'জন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা বলে ৷ কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে পাল্টা পুলিশের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী ৷ মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের এক নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরপুর গ্রামে ৷ শেষমেশ দু'জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর গ্রামে বসে সালিশি সভা ৷ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় ওই গৃহবধূ ও যুবককে কঠোর শাস্তির সিদ্ধান্ত হয় ৷ খবর পেয়ে সেই সময় ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ৷ থানার আইসি সকলকে সাফ জানিয়ে দেন, এভাবে সালিশি সভা বসিয়ে বিচার বেআইনি ৷ গ্রামবাসীরা যেন ওই বধূ ও যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন ৷ কিন্তু পুলিশ আধিকারিকের এই আবেদনে কান দেননি কেউ ৷

এনিয়ে শুরু হয় তর্কাতর্কি ৷ অভিযোগ, এরপরই হঠাৎ সভার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় ৷ পুলিশের উপর নেমে আসে সশস্ত্র হামলা ৷ বাঁশ, লাঠি ও হাঁসুয়া নিয়ে পুলিশকর্মীদের আক্রমণ করে গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ হাঁসুয়ার আঘাত লাগে এক কনস্টেবলের ৷ ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়িও ৷ কোনওরকমে ওই বধূ ও যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ৷ রাতে শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড় ৷ এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷

ধৃতদের বুধবার জেলা আদালতে পেশ করা হলে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ এই ঘটনায় জড়িত 65 জন গ্রামবাসীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আবু বক্করের নেতৃত্বে তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে বলেও জানা গিয়েছে ৷ তবে গ্রেফতারির ভয়ে গ্রাম এখন পুরুষশূন্য ৷

এসডিপিও (কালিয়াচক) ফয়জল রাজা বলেন, “গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে বেআইনিভাবে এক বধূ ও এক যুবককে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছিল ৷ খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী ওই গ্রামে উপস্থিত হন ৷ তিনি ওই দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানান ৷ কিন্তু গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় ৷ এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়ে সুজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷”

মালদা, 30 অক্টোবর: ভরদুপুরে গ্রামের এক আমবাগানে এক বধূ এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন ৷ সেই অভিযোগে দু’জনকে ধরে ফেলে কয়েকজন গ্রামবাসী ৷ এরপর কোনওরকমে গ্রামবাসীদের হাত থেকে পালিয়ে যান দু’জন ৷ সেখান থেকে ফের দু’জনকে ধরে নিয়ে যায় গ্রামবাসীরা ৷ বসে সালিশি সভা।

সেই সালিশি সভা থেকে পুলিশ এই দু'জন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা বলে ৷ কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে পাল্টা পুলিশের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী ৷ মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের এক নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরপুর গ্রামে ৷ শেষমেশ দু'জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর গ্রামে বসে সালিশি সভা ৷ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় ওই গৃহবধূ ও যুবককে কঠোর শাস্তির সিদ্ধান্ত হয় ৷ খবর পেয়ে সেই সময় ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ৷ থানার আইসি সকলকে সাফ জানিয়ে দেন, এভাবে সালিশি সভা বসিয়ে বিচার বেআইনি ৷ গ্রামবাসীরা যেন ওই বধূ ও যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন ৷ কিন্তু পুলিশ আধিকারিকের এই আবেদনে কান দেননি কেউ ৷

এনিয়ে শুরু হয় তর্কাতর্কি ৷ অভিযোগ, এরপরই হঠাৎ সভার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় ৷ পুলিশের উপর নেমে আসে সশস্ত্র হামলা ৷ বাঁশ, লাঠি ও হাঁসুয়া নিয়ে পুলিশকর্মীদের আক্রমণ করে গ্রামবাসীদের একাংশ ৷ হাঁসুয়ার আঘাত লাগে এক কনস্টেবলের ৷ ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়িও ৷ কোনওরকমে ওই বধূ ও যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ৷ রাতে শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড় ৷ এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷

ধৃতদের বুধবার জেলা আদালতে পেশ করা হলে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ এই ঘটনায় জড়িত 65 জন গ্রামবাসীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আবু বক্করের নেতৃত্বে তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে বলেও জানা গিয়েছে ৷ তবে গ্রেফতারির ভয়ে গ্রাম এখন পুরুষশূন্য ৷

এসডিপিও (কালিয়াচক) ফয়জল রাজা বলেন, “গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে বেআইনিভাবে এক বধূ ও এক যুবককে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছিল ৷ খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী ওই গ্রামে উপস্থিত হন ৷ তিনি ওই দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানান ৷ কিন্তু গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় ৷ এক পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়ে সুজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.