কলকাতা, 3 আগস্ট: রাজভবনের লকারে থাকা ব্যক্তিগত নথি ফেরত পেতে আবেদন নির্যাতিতার ৷ এনিয়ে রাজভবন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন তিনি ৷ অভিযোগকারী নির্যাতিতা সপ্তাহ দেড়েক আগেই রাজভবনের বাইরে স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নিজের জিনিসপত্র বের করে নিয়ে গিয়েছেন ৷ এবার রাজভবনের ভিতরে লকারে থাকা ব্যক্তিগত নথি ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, রাজভবনের উত্তর গেটে কলকাতা পুলিশের তরফে যে 'আবেদন-নিবেদন কিংবা চিঠি' জমা দেওয়ার কাউন্টার রয়েছে, সেখানেই নিজের আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন অভিযোগকারী নির্যাতিতা ৷
গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের প্রচারে রাজ্যে এসেছিলেন ৷ থেকে ছিলেন রাজভবনে ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী রাজভবনে প্রবেশের আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন রাজভবনের ইপিবিএক্সে কর্মরত এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী ৷ যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যায় ৷ শাসক-বিরোধী আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ এবং রাজ্যপালের তরফে সাফাই পর্ব চলে ৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও ৷
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ও আইনি লড়াইয়ে প্রায় তিন মাস কেটে গিয়েছে ৷ কিন্তু, অভিযোগকারী নির্যাতিতার ব্যক্তিগত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সামগ্রী এখনও রাজভবনের লকারে পড়ে রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে লকারে থাকা সামগ্রী ফেরত পেতে রাজভবনকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি ৷ রাজভবনের সিনিয়র স্পেশ্যাল সেক্রেটারি এবং এডিসি-কে উল্লেখ করে সেই চিঠি লেখা হয়েছে ৷ রাজভবনের একাংশের কর্মী দাবি করেছেন, নির্যাতিতা যুবতী এখন রাজভবনে যাওয়া নিরাপদ বলে মনে করছেন না ৷
সূত্রের খবর, চিঠিতে অভিযোগকারী কবে নিজের জিনিসপত্র লকার থেকে বের করতে পারবেন ? জানতে চেয়েছেন ৷ যদিও, রাজভবনের তরফে ওই চিঠির কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি ৷ উত্তর দিতে কিংবা লকার খোলার অনুমতি দিতে গেলে, কোনও আইনি জটিলতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ আইনি বিষয় খতিয়ে দেখে ও আধিকারিকদের মতামত নিয়ে চিঠির জবাব দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে ৷ উল্লেখ্য, রাজভবনের ইপিবিএক্সে কর্মরত প্রত্যেক কর্মীরই একটি করে লকার আছে ৷ তেমনই রাজভবনে ওই অস্থায়ী মহিলা নির্যাতিতা কর্মীরও লকার ছিল ৷