আসানসোল, 29 সেপ্টেম্বর: বিদ্যুতের হাইটেনশন তার টানার জন্য খুঁটি বসাতে হবে ৷ আর সেই কারণে সরকারি আধিকারিকরা জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল দক্ষিণ থানার সাউথ পিপি-র অন্তর্গত ধেমোমেনের সাতাশা এলাকায় ৷ বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে ওই জমিতে নির্মীয়মাণ একটি ঘরের পাঁচিল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় ৷ তারপরেই জমির মালিকরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা একজোট হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ৷ পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি হয় ৷ পথ অবরোধও করেন জমির মালিকরা ৷ বিক্ষোভের মুখে শেষে বুলডোজার নিয়ে ফিরে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৷
বিদ্যুতের হাইটেনশন তার নিয়ে যেতে বিদ্যুতের খুঁটি লাগানো হবে ৷ সেই কারণে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে ৷ জমি অধিগ্রহণের এমনই একটি নোটিশ দিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার সাতাশা এলাকায় শনিবার নির্মীয়মাণ ঘরের পাঁচিল বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৷ জানানো হয়, সরকার এই জমি অধিগ্রহণ করবে ৷ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরাও সেখানে হাজির ছিলেন ৷ যদিও, সেটি যাঁদের জমি, তাঁরা দিতে রাজি নন ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই জমিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন মহিলা মিলে কিনেছেন ৷ সেখানে তাঁরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিভিন্ন কাজ শুরুর পরিকল্পনা করেছিলেন ৷ জমির মালিকদের অভিযোগ, বলপূর্বক বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর জন্য তাদের জমি নামমাত্র টাকায় কেড়ে নিচ্ছে সরকার ৷ আর তাই জমি অধিগ্রহণ করতে এলে তাঁরা বাধা দেন ৷ তার জেরেই উত্তেজনা তৈরি হয় ৷ জমির মালিকদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে স্থানীয়রাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ জমির মালিক ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বুলডোজারের সামনে বসে পড়েন ৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী নামানো হয় ৷ মহিলা পুলিশ দিয়ে তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে সরানোর চেষ্টাও চলে ৷ যার জেরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান স্থানীয়রা ৷ কিন্তু, প্রশাসনের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয় ৷ মানুষের বিক্ষোভের সামনে পড়ে পিছু হটেন সরকারি আধিকারিকরা ৷ বুলডোজার নিয়ে ফিরে যান তাঁরা ৷ তবে, সরকারি আধিকারিকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের কাছে নির্দেশ আছে ৷ নোটিশও দেওয়া হয়েছে জমি অধিগ্রহণ করার ৷ তাই আবারও ভবিষ্যতে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ৷ যদিও, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক কর্তারা সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু জানাতে চাননি ৷