জলপাইগুড়ি, 22 অক্টোবর: ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ জলপাইগুড়িতে। মৃত কলেজ পড়ুয়ার নাম শান্তনু কুমার মজুমদার (23)। শান্তনু জলপাইগুড়ি শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ। মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় সদর হাসপাতালের পুলিশ মর্গে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতের খাওয়া-দাওয়া করে নিজের ঘরে ঘুমোতে যান শান্তনু । পরিবারের দাবি, এরপরই ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুর সঙ্গে এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুর্গাপুজোর পর থেকে তাঁদের সম্পর্ক ঠিক ছিল না। সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয় তাঁদের ৷ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছিলেন শান্তনু। কিন্তু শান্তনুর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকা ধরা পড়েনি। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো থেকে শুরু করে পরিচতদের সঙ্গে গল্প করা-সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে শান্তনু এমন ঘটনা ঘটাবেন তা কেউ আঁচ করতে পারেননি ৷ কেন এমন হল তা বুঝতেও পারছেন না কেউ ।
শান্তনুর মা রত্না চট্টোপাধ্যায় মজুমদার বলেন, "গতকাল বাড়িতে কান্নাকাটি করছিল। কেন প্রেমিকা সম্পর্ক ভাঙল তা নিয়েই আমার সঙ্গে কথা বলছিল। দু-তিন বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কে অবনতি হওয়ার ফলেই এমন হতে পারে। জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করত। আমার একমাত্র ছেলে এভাবে চলে যাবে ভাবতেও পারছি না।"
শান্তনুর বন্ধু অনিকেত চক্রবর্তী বলেন, "গত পরশু দিন সন্ধ্যায় সময় অনেকক্ষণ গল্প করেছিলাম। আমাদেরকে পুজোর সময় বলেছিল প্রেমের সম্পর্কটা ভেঙে গিয়েছে। আজ শান্তনু এভাবে চলে গেল। ভাবতেই পারছি না। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে তা বুঝতেও পারিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।