আলিপুরদুয়ার, 25 জুন: হরিণের মাংস খাওয়ার অপরাধে আটক দুই ব্যক্তি । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলা-অসম রাজ্যের সীমানায় বারোবিশাতে ৷ সোমবার রায়ডাক নদীর পাশে বালি ও পাথর তোলার কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক ৷ সেই সময় একটি হরিণ ভেসে আসতে দেখেন তাঁরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই শ্রমিকরা হরিণটিকে উদ্ধার করেন ৷ এরপর নদীর চরেই সেটি কেটে মাংস ভাগ করে বাড়িতে বাড়িতে নিয়ে চলে যান শ্রমিকরা ৷
এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে সেই মাংস রান্না করে ভোজের আয়োজনে বন দফতর হানা দেয় ৷ ভলকা রেঞ্জ অফিসার প্রভাত বর্মনের নেতৃত্বে বন কর্মীরা দুই শ্রমিকের বাড়িতে হানা দিয়ে দেখতে পান, বাড়িতে মাংস রান্না হয়েছে ৷ বাড়ির মালিক বছর বাষট্টির মদন বর্মনকে জিজ্ঞাসা করা হয় মাংসটি কীসের ? তিনি জানান, সেই মাংস হরিণের মাংস ৷ এরপরই তাঁকে আটক করেন ওই বনকর্মীরা ৷ এদিকে মদন বর্মনের বাড়িতে পুলিশ দেখে পালিয়ে যান বাকিরা ৷
এরপর রাতে ফের অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় 21 বছর বয়সি প্রেমসাগর রাজভরকেও ৷ রান্না করা মাংস উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভল্কা রেঞ্জের পক্ষ থেকে 1972 ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশান অ্যাক্টের 9, 39, 49 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল । দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করে বন দফতর । ধৃতদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা জানান, ওই হরিণটি মৃত ছিল ৷ কিন্তু হরিণ আদৌ মৃত ছিল নাকি জীবিত তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভলকা রেঞ্জ ৷ পাশাপাশি, উদ্ধার হওয়া হরিণের মাংস ল্যাবে পরীক্ষার জন্যও পাঠিয়েছে বক্সা বনবিভাগের ভলকা রেঞ্জের অফিসাররা ৷ পলাতকদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে ৷