ডায়মন্ড হারবার, 21 নভেম্বর: শিক্ষামন্ত্রীর রোষের মুখে পড়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল ফর স্কুল স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস কাউন্সিলের সহসভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামকে। সম্প্রতি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে একটি পোস্ট করেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম।
এছাড়াও ডায়মন্ড হারবারে আয়োজিত 68তম রাজ্য স্কুল গেমস প্রতিযোগিতায় শিক্ষামন্ত্রীর ছবি না-ব্যবহার করে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করেন ৷ আর সে কারণে পদ খুঁইয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, "ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেস কাউন্সিল ফর স্কুল স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস কাউন্সিলের সহসভাপতি তথা কনভেনর পদ থেকে সরানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আমাকে সরিয়ে যাঁকে এনেছেন, তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি । অক্টোবর মাসে রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদ আয়োজিত ডায়মন্ড হারবারে মহিলাদের যে কবাডি এবং দাবা খেলা হয়েছিল তাদের উৎসাহিত করে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলাম। সেখানে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল । সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন, কেন তাঁর ছবি ব্যবহার হবে না !"
এই ঘটনার জেরে ফের একবার শাসকদলে প্রকাশ্যে চলে এল নবীন ও প্রবীণের দ্বন্দ্ব। এ বিষয়ে শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম বলেন, "বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাঁরা খেলার সঙ্গে যুক্ত, সামাজিক কাজে এবং রাজ্যজুড়ে আমরা যাঁরা সংগঠনে আছি, তাঁরা অভিষেকদাকে আরও সক্রিয়ভাবে দলে ও সরকারে দেখতে চাই ৷ যাতে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্র দফতর পান ৷ কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা এবং আস্থা প্রকাশ করে তা নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীকে। ডায়মন্ড হারবার মডেলকে সামনে রেখে যেভাবে যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।"
তবে কি অভিষেক-পন্থী হওয়ার কারণেই পদ খোয়াতে হল তাঁকে ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এবং অভিষেক-পন্থী হওয়ার কারণে আমার পদ যায় তাহলে, আমি এই পদ খোয়াতে 100 বার রাজি আছি । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যুব সমাজের আইকন ৷ যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন দিক একাহাতে দক্ষ প্রশাসকের মতো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তা প্রশংসাযোগ্য। শিক্ষামন্ত্রী বেশ কয়েকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় শিক্ষকদের হুমকি দিয়েছেন ৷ আমাকেও বেশ কয়েকবার বলেছেন, এই রকম বিতর্কিত পোস্ট যেন না করা হয়।"