কলকাতা, 22 জানুয়ারি: ফের শুট আউট ! এ বার গুলি চলল উত্তর 24 পরগনার ব্যারাকপুর । স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে গুলি চলে ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে। তিন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় । বুকে গুলি লেগেছে যুবকের । প্রথমে তাঁকে ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে ৷
বুধবার ভর দুপুরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অফিস থেকে কয়েক মিটার দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে । হঠাৎ গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা । গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম মহম্মদ ইমদাদ ৷ তাঁর বয়স আনুমানিক 27 বছর ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর পুরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডের চিড়িয়ামোড় পাইপ রোড এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিস রয়েছে । সেখানে সেভাবে কারও যাতায়াত নেই । বুধবার আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ সেখান থেকে গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়ে এলাকাবাসীরা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন ইমদাদ । তখনই স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় ।
সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে ইমদাদ-সহ মোট চারজন ছিলেন । অভিযোগ, বাকিদের সঙ্গে পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল ইমদাদের ৷ এদিন সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্যই বাকিরা তাঁকে পরিত্যক্ত ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের কাছে ডেকেছিল বলে অভিযোগ । অভিযোগ, সেখানেই দু পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধলে দু'জন ইমদাদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ।
ইমদাদের মা কাঁদতে কাঁদতে জানান, দুপুরে তাঁর ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন । তার পরেই তিনি খবর পান যে তাঁর ছেলেকে গুলি করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝাঁ বলেন, "বেলা তিনটে পনেরো নাগাদ গুলি চলে । একজন আহত হন । তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল । হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় আহত যুবক তিনজনের নাম বলেছে । অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পলাতক । তাদের খোঁজ চলছে । ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ।"
এদিনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দে বলেন, "গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি পুলিশকে বলব, যেন এলাকায় মজুত বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং চিহ্নিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।"
টিটাগর থানা ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।