কলকাতা, 16 ডিসেম্বর: বাংলাদেশ ইস্যুতে সোমবার সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে মোদি সরকারকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । কেন্দ্রীয় সরকারের এই নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া উচিত বলেই তিনি মনে করেন ৷
এদিন তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যেভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটছে, যেভাবে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এর কড়া নিন্দা আমাদের (পশ্চিমবঙ্গ) সরকার করেছে । কেন্দ্রীয় সরকারের এই নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে । ইতিমধ্যেই বিদেশসচিব বাংলাদেশ গিয়েছেন । কিন্তু তিনি বাংলাদেশ যাওয়ার পরে কী কথা হল, সেটা হাউজে (লোকসভা) এসে বলা দরকার ।’’
এদিন অভিষেক দাবি জানিয়েছেন, ‘‘বিদেশমন্ত্রীর এই নিয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত । এটাই পার্লামেন্টের রীতিনীতি । কেউ যদি কোনও বিদেশ সফর করেন, সেক্ষেত্রে এই যৌথ বৈঠকে কী হল, তা সংসদে এসে জানানো হয় । এটাই সংসদীয় রীতিনীতির অংশ । সংসদীয় রাজনীতিতে এটাকে ন্যূনতম সৌজন্য হিসাবে ধরা হয় । মানুষ এটা আশা করে আপনাদের থেকে ।’’
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘আপনারা যদি এটা না-করেন, দেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখেন, সেটা মানুষ ভালো ভাবে নেবে না । একতরফাভাবে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতে চাইলে, যখন মানুষ সুযোগ পাবে, তখন এর জবাব দেবে ।’’
একইভাবে এদিন ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়েও সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘‘দেশের 140 কোটি মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করছে কেন্দ্রের সরকার ! যারা বাংলায় আট দফায় নির্বাচন করায়, তারা দেশে এক দফায় নির্বাচন করবে ! এটা হাস্যকর !’’ তিনি এমনটাও মনে করছেন, দু’বছর অন্তর অন্তর মানুষ যদি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে থাকেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার চাপে থাকবে । আর সেই কারণেই মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ ।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কথায়, ‘‘সংবিধান বদলে দেওয়ার প্রয়াস এটা । আমরা আগেই বলেছিলাম । দেশবাসীর পাঁচবছরে ছ’বার ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে একবার ভোট দিতে বলছে । এটা হয় নাকি ?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই বিল জনগণের অধিকার হরণ করবে । ভোট প্রক্রিয়ায় বদল এনে সংবিধান বদল করতে চাইছে বিজেপি । যতদিন বিরোধী দল থাকবে, আমরা এই বিল পাশ হতে দেব না ।’’