কলকাতা, 9 অগস্ট: বুদ্ধবাবুকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতেই এই প্রথমবার বিধানসভায় পা-দেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, দু'বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেও কখনোই বিধানসভায় পা-রাখেননি তৃণমূল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রাতে অভিষেকের উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বিধানসভায় শাসক এবং বিরোধী দলের সমস্ত বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও শেষশ্রদ্ধা জানান বুদ্ধবাবুকে ৷ বুদ্ধদেবকে শেষশ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিধানসভার বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। ছিলেন বিধানসভার প্রাক্তন কর্মীরাও। বুদ্ধজায়া মীরা ভট্টাচার্য, সন্তান সুচেতন, মহম্মদ সেলিম-সহ দলের অন্যান্য নেতারা তো রয়েছেনই ।সকলের অনুরোধে কিছুক্ষণের জন্য তাঁর শববাহী গাড়ি থেমে যায়। স্লোগান ওঠে 'বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য লাল সেলাম'। ঠিক সকাল 11.36 নাগাদ তাঁর মরদেহ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যায় সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের উদ্দেশে ৷
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ বৃহস্পতিবার সকাল 8টা বেজে 20মিনিটে প্রয়াত হল সিপিএমের এই বর্ষীয়ান নেতা। গতকাল রাতে পিস ওয়ার্ল্ডে শায়িত ছিল তাঁর মরদেহ। আজ সকাল সাড়ে 10টায় তাঁর শববাহী গাড়ি রওনা দেয় বিধানসভার উদ্দেশে ৷ গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাম অ্য়াভিনিউয়ে বাড়িতে পৌঁছে বুদ্ধদেববাবুর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে বলেছিলেন, বুদ্ধবাবুকে বিধানসভাতে যেন নিয়ে যাওয়া হয় ৷ স্পিকারও অনেকবার ফোন করে একথা জানান মীরা ভট্টাচার্যকে ৷ এরপরই আজ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায় ৷
বিধানসভায় বুদ্ধদেববাবুর স্মৃতিচারণা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "দূর থেকে বুদ্ধবাবুকে দেখতাম ও বক্তব্য শুনতাম ৷ তবে, 2007 সালে 12 মার্চ আমার প্রথম কথা হয় তাঁর সঙ্গে ৷ তৎকালীন দল আমাকে সুযোগ দেওয়া হয় ৷ আমার কথা শুনেছিলেন তিনি ৷ বক্তব্য শেষ হওয়ার পর আমাকে তিনি হাত নেড়ে ডেকেছিলেন, তারপর তৃণমূল আমাকে শাস্তি দিয়েছিল ৷ এরপর থেকে তৃণমূল আমাকে আর কখনও কিছু বলতে দেয়নি ৷"