দুর্গাপুর, 5 জুন: বেকার মহিলাদের নিয়ে সেলাইয়ের দোকান খুলে আয়ের দিশা দেখিয়েছিলেন ফিরোজা খাতুন । ভোট পরবর্তী হিংসার আগুনে ভস্মীভূত সেই দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মহুয়াবাগান এলাকায় ৷ সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়াবাগান এলাকায় সিপিএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন ফিরোজা খাতুনের বাবা মহম্মদ আলী শেখ । সেই অপরাধেই ফিরোজা খাতুনের সেলাইয়ের দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকাজুড়ে।
মহম্মদ আলী শেখের অভিযোগ, "লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নানা ভাষায় হুমকি দিত তৃণমূলের লোকেরা । নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরের রাতেই জ্বালিয়ে দেওয়া হল মেয়ের দোকান । ঋণ নিয়ে চারটি সেলাই মেশিন কিনেছিল মেয়ে । পাড়ার বেশ কয়েকটা মেয়েও ফিরোজার দোকানে কাজ করে সংসার চালাত। কিন্তু মেয়ে কোনও দলই করত না। তারপরেও এইভাবে মেয়ের দোকান জ্বালিয়ে বড়ই সর্বনাশ করে দিল তৃণমূলের বাহিনী ।"
ফিরোজা খাতুন বলেন, "আমি কোনও রাজনৈতিক দলই করতাম না । ঋণ নিয়ে চারটি সেলাই মেশিন কিনেছিলাম । এই দোকান থেকে যেটুকু রোজগার হতো তাতেই কোনওরকমে সংসার চলত আমাদের। আমার দোকানে কয়েকজন কাজও করত ৷ দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ায় তাঁদেরও রোজকার থেমে গেল। আমিও এখন অথৈ জলে পড়ে গেলাম । কিভাবে মাথা তুলে দাঁড়াব ভেবে কূল পাচ্ছি না।"
এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল এই ধরনের কাজ করতেই পারে না। এই কাজ বিজেপির। আমাদের প্রতিনিধি দল এলাকায় এলাকায় পৌঁছে যাবে । যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানাচ্ছি পুলিশকে ।"