দার্জিলিং, 19 জুলাই: এক আদিবাসী যুবতীকে ঝাড়ফুঁকের নামে লাগাতার ধর্ষণ ! ঘটনায় অভিযুক্ত সাধুকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের বাগডোগরা থানার পুলিশ । অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম রন্টু চিক বরাইক । বয়স 38 বছর । এলাকায় সাধুবাবা নামেই পরিচিত তিনি । তার বাড়ি ঘোষপুকুরের কমলা চা বাগানের গুদাম লাইনে । ধৃতকে শুক্রবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, "অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত চলছে । "
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা যুবতীর বাবা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন । মাসখানেক আগে তাঁর দাদারও মৃত্যু হয়েছে । বাড়িতে বৃদ্ধা মা ও বৌদির সঙ্গে থাকেন যুবতী । মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ায় অভিযুক্ত সাধুবাবা যুবতীর বাড়িতে যান ঝাড়ফুঁক করতে । সুস্থ করার নামে তিনি প্রায়ই যুবতীকে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ । ঘটনায় যুবতী অন্ত্বঃসত্তা হয়ে পড়েন । গত মঙ্গলবার যুবতীর মায়েরও মৃত্যু হয় । পরবর্তীতে বুধবার নির্যাতিতা প্রতিবেশীদের কাছে সমস্ত ঘটনা জানালে প্রতিবেশীরা তাঁকে নিয়ে বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই 'সাধুবাবা' রন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ । যুবতীর অভিযোগ, "আমাকে সুস্থ করার জন্য গত আট মাস থেকে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসত । বাড়িতে অসুস্থ মা ছিল । বৌদিও কাজের জন্য বাইরে চলে যেত । চিকিৎসা করার নাম করে ধর্ষণ করত এবং প্রাণে মারার হুমকি দিত । ভয়ে এতদিন কাউকে বলার সাহস পাইনি । আমি অন্ত্বঃসত্তা হয়েছি বুঝতে পেরে বৌদি এবং প্রতিবেশীদের জানাই ।" পুলিশ যুবতীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় ।