রামপুরহাট, 24 জানুয়ারি: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কুয়াশার দাপট। শুক্রবার ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম ৷ গণ পরিবহণে তার প্রভাব পড়েছে । শহর কলকাতার তাপমাত্রা পারদ চড়লেও বীরভূমে জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে ৷ আর সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন বীরভূমের অধিকাংশ জায়গা। ঘন কুয়াশার কারণে কমেছে দৃশ্যমানতা ৷ এক হাত দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। যার জেরে সমস্ত ট্রেনই দেরিতে চলছে।
শুক্রবার সকালে বীরভূমে তাপমাত্রা নেমেছে 13 ডিগ্রিতে। যা চলতি মরশুমের শীতলতম দিন বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শরীরকে উষ্ণতা রাখার চেষ্টা করছেন অনেকে ৷ কুয়াশার কারণে মর্নিংওয়াকে মানুষজনের সংখ্যাও এদিন ছিল অনেক কম ৷ অনেকে আবার এই ঘন কুয়াশাকে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে তুলনা করছেন । বৃহস্পতিবার আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দার্জিলিংয়ে বরফ পড়ার সম্ভবনা আছে ৷
তবে কারও পৌষ মাস হলেও কারও এতে সর্বনাশ ৷ কারণ ঘন কুয়াশার জেরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলুচাষিদের কপালে। নলহাটির চামটি বাগান, তেজহাটি এলাকায় বীরভূমের সব থেকে বেশি আলু চাষ হয়ে থাকে। কুয়াশায় আলুচাষে ক্ষতি হবে বলে মনে করেছেন চাষিরা। তবে আগামী রবিবার অর্থাৎ 26 জানুয়ারি চড়ুইভাতির ধূম বাড়বে বীরভূমে ৷ প্রজাতন্ত্র দিবসে বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার তারাপীঠ, নলহাটেশ্বরী, বৈধরার শালবনি-সহ এলাকায় পিকনিকের ভিড় বাড়ে।
উল্লেখ্য, আজ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া।