দার্জিলিং, 29 মে: মরশুমের শুরুতেই শৈলরানিতে পর্যটকদের উপড়ে পড়া ভিড় ৷ সমতলে গরমে নাভিশ্বাস উঠলেও পাহাড়ে বেশ জমিয়ে পড়েছে ঠান্ডা ৷ তার উপর রাত থেকে বৃষ্টি, আরও বাড়িয়ে তুলেছে পাহাড়ের সৌন্দর্য ৷ তবে সকালে আবহাওয়া সাধ দিয়েছে পর্যটকদের ৷ মেঘ সরে পরিষ্কার হতে দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার ৷ শীতল আবহাওয়াকে সঙ্গী করে চায়ের ভাড়ে চুমুক দিতে দিতে স্লিপিং বুদ্ধাকে উপভোগ করছেন কলকাতা-সহ দূর দূরান্তের পর্যটকেরা ৷
পরিবার নিয়ে নয়ডা থেকে দাজিলিংয়ে ঘুরতে এসেছেন সন্তোষ গুপ্তা ৷ তিনি বলেন, "আমরা প্রথমবার দার্জিলিংয়ে এসেছি ৷ এখানে এসে খুব ভালো লাগছে ৷ সমতলের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারির মাসের মতো মে মাসে শীত পাহাড়ে ৷ এখানেই বাড়ি তৈরি করে থেকে যেতে ইচ্ছে করছে ৷" কলকাতা থেকে আসা আরেক পর্যটক পার্থ দাসের কথায়, "রাজ্যের বাইরে বহু জায়গায় ঘুরতে গেলেও দার্জিলিংয়ে প্রথমবার এলাম ৷ আমাদের বাংলার সেরা জায়গা এটি ৷ খুব ভালো লাগছে এখানে এসে ৷ পরিবারকে নিয়ে পাহাড় উপভোগ করছি ।"
রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি চলছে ৷ অন্যদিকে দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে ভোটপর্ব মিটেছে ৷ 15 মে থেকে 15 জুন দার্জিলিংয়ে পর্যটনের সেরা মরশুম ৷ তাই সবমিলিয়ে পাহাড় দর্শনে খামতি রাখতে চাইছেন না পর্যটকেরাও ৷ মিরিক থেকে মেল রোড-সহ দার্জিলিংয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে তাই ঠাসা ভিড় ৷ পর্যটকদের দেখে সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরাও ৷ রেস্তরাঁর মালিক রাহুল বলেন, "এটা পাহাড়ের প্রথম পর্যটনের মরশুম, যা জুন পর্যন্ত চলবে ৷ বেশিরভাগ মানুষ দার্জিলিংয়ে শীতল আবহাওয়া উপভোগ করতে আসছে ৷ এর ফলে ব্যবসাও খুব ভালো হচ্ছে ।"
গত বছরের তুলনায় এ বছর পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় অনেক বেশি । জুন মাস পর্যন্ত জারি থাকবে পর্যটকদের আনাগোনা ৷ বেশিরভাগ হোটেলই জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ফুল বুকিং রয়েছে ৷