আসানসোল, 27 মার্চ: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসব ঘিরে বিশৃঙ্খলা । উৎসব শুরুর আগেই রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ।
বুধবার আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন উৎসব । সেই উৎসবেই যোগ দিতে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে কাল্লা মোড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা জমায়েত হয়ে রাজ্যপালের গাড়িকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখান । পাশাপাশি রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয় । রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্যপাল বিজেপির দালালি করছে ।
গত কয়েকদিন ধরেই কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন উৎসব ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে । রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে সমাবর্তন উৎসব নিয়ে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছিল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে । সেখানে জানানো হয়েছিল যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই, সেই কারণে সমাবর্তন উৎসব না-করার পক্ষেই নিদান দিয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর ।
তবে সেই কথায় কান না-দিয়ে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত করে বুধবার । এই সমবর্তন উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য তথা রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখেই 19 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কাল্লা মোড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এবং তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় । ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন 19 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে কাল্লা মোড়ে । পুলিশের জমায়েত থাকলেও পুলিশ কিন্তু প্রথমে তৃণমূল ছাত্রছাত্রীদের সরানোর কোনও রকম চেষ্টা করেনি বলে অভিযোগ ।
রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখেই ছাত্রছাত্রীরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন এবং রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ ও কালো পতাকা দেখানো হয় । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় । সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন সমাবর্তন উৎসব হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে কিংবা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে কোনও নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি । রাজ্যপাল অনৈতিকভাবে বিজেপির দালালি করতে আসছেন । আইন না-মানার আঁতুড়ঘড় হয়ে গিয়েছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় । আমরা সমাবর্তনের বিপক্ষে নই কিন্তু যেভাবে সমাবর্তন হচ্ছে তা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে আমরা মনে করছি ।"
আরও পড়ুন: