ভাঙড়, 29 সেপ্টেম্বর: ভাঙড়ে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। 'গদ্দার হঠাও, ভাঙড় বাঁচাও' বলে হুঙ্কার দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। রাজনৈতিক মহলের দাবি, নাম না করে আরাবুল ইসলামকেই 'গদ্দার' বলে আক্রমণ করেছেন তিনি।
সায়নীর কথায়, "ভোটের সময় যারা পিছন থেকে দলকে ছুরি মেরেছে, তাদের চিহ্নিত করুন। আইএসএফ-বিজেপি-সিপিএম পরে, আগে দলের অন্দরের গদ্দারকে চিহ্নিত করুন ৷" আরাবুল ইসলামের সঙ্গে শওকত মোল্লার দ্বন্দ্বের মধ্যে প্রকাশ্যেই এভাবে হুঙ্কার দিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ ৷ শওকতের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম না করে রবিবার আরাবুলকে সায়নী ঘোষ 'গদ্দার' বলেও আক্রমণ করেন। ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে তৃণমূলের এই কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
শওকত মোল্লার উপস্থিতিতেই সেই কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে আরাবুল ইসলামকে তুলোধনা করতে দেখা গিয়েছে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষকে। কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। শওকত মোল্লার অনুগামীদের দাবি, আরাবুল-বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন আরাবুল ইসলাম। জেল থেকে বেরোনোর পর শওকত মোল্লাকে 'হার্মাদ' বলে কটাক্ষও করেছিলেন আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ে শওকত-আরাবুল এখন দুটি শিবির তৃণমূলের বেশ প্রকট। এর মাঝেই সায়নীর এই মন্তব্যে দ্বন্দ্বে আরও ঘি ঢালল বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল ৷
দীর্ঘ পাঁচমাস জেলবন্দী ছিলেন ভাঙড়ে তৃণমূলের 'দাপুটে' নেতা আরাবুল ইসলাম ৷ গত জুলাই মাসে জেল থেকে মুক্তি পান তিনি । তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন আরাবুল । গত 27 তারিখ বিকেলে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সাতুলিয়া এলাকায় একটি চা-চক্রের আয়োজন করেন তিনি। আরাবুল ইসলাম আয়োজিত চা চক্রে হামলার অভিযোগ ওঠে ৷ অভিযোগ উঠেছে দলেরই আর একটি অংশের বিরুদ্ধে ৷