কলকাতা, 15 অগস্ট: পুজোর উদ্বোধন নয়, পুজোর মুখ হতে চলেছেন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ। যাদবপুরের কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হচ্ছে তিনি। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন পুজো কমিটির তরফে পুজোর থিম-সহ শিল্পীদের নাম এবং পুজোর মুখের নাম প্রকাশ্যে এনেছে পুজো কমিটি। উল্লেখ্য, কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের পুজোর হোডিং লাগিয়েছে পুজো কমিটি। সেখানেই থিম ‘অনুনাদ’-এর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সায়নীর মুখ।
এ বছর কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মঞ্চ সাজিয়ে তুলবেন শিল্পী সুশান্ত পাল। মূলত তাঁর ভাবনা ‘অনুনাদ’-কে সামনে রেখেই পুজোর মুখ করা হয়েছে সায়নীকে। তবে, জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার অনেক আগেই শিল্পী সুশান্ত পাল পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের কাছে সায়নীকে পুজোর মুখ হিসেবে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
শিল্পীর ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে পুজো কমিটির প্রস্তাব যায় সায়নীর কাছে। প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে রাজি থাকলেও রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে ওই ব্যাপারে পরে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। এরপর শুরু হয় ভোট। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। সাংসদ পদে শপথ নিয়ে নিজের শহরে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুজো কমিটি। অবশেষে কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হতে রাজি হন সায়নী।
ইতিমধ্যেই শিল্পী সুশান্তের নির্দেশনায় সায়নীর একটি ফোটোশুটও হয়ে গিয়েছে। যার একটি ছবি বৃহস্পতিবারই প্রথম হোর্ডিংয়ে জায়গা পেয়েছে। ওই পুজো কমিটির সঙ্গে নিজের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আগামীদিনে নিজেই সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবেন বলে সায়নীর ঘনিষ্ঠমহলের বক্তব্য। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের আরও একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি বালিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী সর্বোপরি সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। যিনি থিম ‘অনুনাদ'-এর আবহ সঙ্গীত নির্মাণ করবেন।