বহরমপুর, 4 সেপ্টেম্বর: অসংরক্ষিত টিকিটে ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় ভ্রমণ ! তবে একা নন, ভ্রমণ সঙ্গী রয়েছেন ৷ এতদুর পর্যন্ত সব ঠিক ছিল ৷ ব্যাঘাত ঘটল টিকিট পরীক্ষক টিকিট দেখতে চাওয়ায় ৷ টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন নবগ্রামে শাসক দলের বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল ৷ বচসায় মেজাজ হারিয়ে টিকিট পরীক্ষককে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন তিনি ৷ তৃণমূল বিধায়কের এই ব্যবহারকে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী ৷ তাঁর কথায়, "বিষয়টি কতটা সত্যি, আমি যাচাই করে দেখিনি ৷ তবে সত্যি হলে একজন জনপ্রতিনিধির কাছে এই ব্যবহার আশা করা যায় না ৷ সাধারণ মানুষ কী শিখবে !"
ঘটনাটি ঘটে মালদা-হাওড়াগামী ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে ৷ রেল সূত্রে খবর, ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের এসি চেয়ার কামরায় খাগড়াঘাট স্টেশন থেকে হওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন নবগ্রামর বিধায়ক ৷ ট্রেনটি ওই স্টেশন ছাড়তেই টিকিট পরিক্ষক বিধায়কের পাশের সিটে বসে থাকা মহিলার টিকিট দেখতে চান । তখন বিধায়ক নিজের পরিচয় দিয়ে টিকিট পরিক্ষককে জানান, মহিলা তাঁর সফর সঙ্গী । তারপরও মহিলার কাছে টিকিট চান পরীক্ষক ৷ আর তাতেই টিকিট পরিক্ষকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক ৷ বিধায়ক দাবি করেন, মহিলার কাছে টিকিট রয়েছে ৷ উত্তরে পরীক্ষক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, অসংরক্ষিত কামরার জন্য এই টিকিট ৷ এরপরই শুরু হয় বচসা ৷ মেজাজ হারিয়ে টিকিট পরীক্ষককে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দেন তৃণমূল বিধায়ক ৷
ঘটনায় কামরার মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন কামরার বাকি যাত্রীরা ৷ তাঁরা সকলেই বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "ওই মহিলা একটি সাধারন টিকিট কেটে এসি চেয়ার কামরায় উঠে পড়েছিলেন । টিকিট পরিক্ষক তাঁর কাছে 500 টাকা দাবি করেন । ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন মহিলা । পরবর্তীতে আমার সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে আমার পাশের সিটে বসার জায়গা করে দিই ।" পূর্ব রেলের জন সংযোগ আধিকারিক বলেন, "এই রকম ঘটনা হামেশাই ঘটে । অনেকেই সিট ম্যানেজ করে সফর করেন ৷ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷"