কলকাতা, 6 মার্চ: প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপি-তে যোগ নিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল ভবন থেকে পালটা আক্রমণ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ফলের উদাহরণ টেনে বিচারপতিকে 'খরমুজ' বললেন তিনি। বাম আমলে এক সময়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "সুব্রত তরমুজের মতো ৷ ওর ভিতরে লাল বাইরে সবুজ ৷" আবারও তেমনই উদাহরণ টেনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে 'খরমুজ' বলে কটাক্ষ শ্রীরামপুরের সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
তাঁর কথায়, "তিনি একটি খরমুজ! যাঁর ভিতরটা লাল, উপরটা গেরুয়া। সবটা করেছেন সিপিএমের দাক্ষিণ্যে ৷ বিভিন্ন প্যানেলে ঢুকেছিলেন, এসএসসির আইনজীবী ছিলেন, তারপর এখন সিপিএমকে ল্যাং মেরে বিজেপিতে যাচ্ছেন । আসলে শুভেন্দু অধিকারীর পায়ে ঝাঁপ দিয়ে পড়েছে । একমাস আগেও বাড়িতে কার্ল মার্কসের ছবি টাঙানো ছিল, এখন গিয়ে দেখুন হয়তো মোদির ছবি টাঙানো আছে ৷" এদিন তার আদর্শ নিয়ে করা মন্তব্যের কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও উল্লেখ করেন, "তাঁর 80 শতাংশ মামলা ডিভিশন বেঞ্চ বা শীর্ষ আদালত খারিজ করে দিয়েছে ৷ নয় তো ওর ঘর থেকে মামলা সরিয়ে নিয়েছে । বিচারপতি হিসেবে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক ৷" তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, বিচারের চেয়ারে বসে পাড়ার মস্তান, রকবাজদের মতো কথা বলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওনার যে শিক্ষা সংস্কৃতি নেই, তা স্পষ্ট । যেভাবে বিচারপতি পদে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তাতে তিনি হাইকোর্টের সম্মান নষ্ট করেছেন।
এমনকী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ, নিজের ইচ্ছে মতো কাজ না হলে যাকে যা খুশি বলতেন। নিজের মর্জিমাফিক কাজ করাতেন। একটি উদাহরণ টেনে কল্যাণ বলেন, "একবার সিবিআইয়ের দলকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন । দলে একজন স্বামী-স্ত্রী ছিলেন । তাঁদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মমতা-অভিষেককে গ্রেফতার করতে হবে । তারা রাজি না-হওয়ায় তদন্তকারীদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।"
আরও পড়ুন: