কলকাতা, 14 মে: প্রায় 13 মাস পর জামিনের খবর পেয়ে আবেগে ভাসলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জামিনের খবর সামনে আসতেই আবেগ প্রবন জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগরের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক বলেন, "কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে ৷ সেগুলি পূরণ হলেই পাকাপাকিভাবে তিনি সংশোধনাগার থেকে বেরোবেন।"
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর 14 এপ্রিল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির ফাঁকে তাঁর ব্যবহার করা দু’টি মোবাইল নিকটবর্তী এক জলাশয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জীবনের নামে। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর থেকেই বেশ কয়েকবার আদালতে পেশ করার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জীবনকৃষ্ণ সাহা।
জেল সূত্রের জানা গিয়েছে, এর আগেও জামাইষষ্ঠী দিন, যখন জীবনকৃষ্ণ সাহাকে আদালতে পেশ করা হচ্ছিল ঠিক সেই সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন খাবার এবং উপহার নিয়ে এসেছিলেন ৷ বহুদিন পর পরিবারের সদস্যদের দেখে চোখের জলে ভাসিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে নিউ টাউনের বাসিন্দা প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করে। এই প্রসন্ন রায় মূলত এজেন্ট হিসেবে তিনি কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এজেন্টদের কন্ট্রোল করতেন এই প্রসন্ন রায়। এছাড়াও জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে এই প্রসন্ন রায়ের একটি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেও তদন্তকারীদের দাবি। মামলায় যোগ থাকার অভিযোগ সামনে এনে এরপরই জীবনকৃষ্ণ গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রে খবর, সংশোধনাগারে একজন বন্দী হিসেবে থাকাকালীন জীবনকৃষ্ণ সাহা আচরণ অত্যন্ত ভালো ছিল।
আরও পড়ুন: