বহরমপুর, 13 মে: মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে আগেই বলেছিলেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী ৷ চতুর্থ দফায় বহরমপুরের শক্তিপুর এলাকায় তেমনটাই হচ্ছে বলে মেনে নিলেন ভরতপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ৷ চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটে শক্তিপুরের দু'টি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল ৷ এ নিয়ে হুমায়ুন কবীরের অভিযোগ, "শক্তিপুর এলাকায় পুরো ভোটটা 'পোলারাইজ' হয়ে গিয়েছে ৷" তাই এখানে তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেয়নি বিজেপি ৷ এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ৷ এদিকে কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, শক্তিপুরে জোর করে বিভাজনের রাজনীতি করা হচ্ছে ৷
তৃণমূল নেতার দাবি, এলাকার হিন্দু ভোটাররা এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে ৷ এর আগে ওই ভোটাররা অধীর চৌধুরীর থেকে সুযোগ-সুবিধে নিত ৷ ওই ভোটারদের মধ্য়ে কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে ভোট দিতেন ৷ বাকিরা অনেকে তৃণমূলকে ভোট দিতেন ৷ সেই সংখ্যা খুব কম ছিল ৷ এবার বহরমপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন ইউসুফ পাঠান ৷ তাতে এলাকার ভোট সমীকরণটা বদলে গিয়েছে ৷ হুমায়ুনের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৷ তাই বুথে তৃণমূল এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি ৷
নেতা বলেন, "1952 সাল থেকে ত্রিদিব চৌধুরী, ননীগোপাল ভট্টাচার্য, অতীশ সিনহা, প্রমথেশ মুখোপাধ্যায় সাংসদ হয়েছেন ৷ 25 বছর ধরে অধীর চৌধুরী হিন্দু সাংসদ রয়েছেন ৷ তাহলে 63 শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ সাংসদ হতে পারবেন না ? এটা ভারতের সংবিধানে নেই ?" এদিকে সোমবার বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, "শক্তিপুরে ভোট মেরুকরণের চেষ্টা করছে ওরা ৷ মানুষ বিভাজনের রাজনীতি করতে না-চাইলেও ওরা জোর করে তা করছে ৷"
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি জেলা সভাপতি শাখারাব সরকার ৷ তিনি পালটা তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মেরুকরণের অভিযোগ তুললেন ৷ তিনি বলেন, "হুমায়ুনবাবুর বাড়ি রেজিনগর বিধানসভার শক্তিপুর এলাকায় ৷ তিনি পাশের বিধানসভা ভরতপুরে গিয়েছেন বিধায়ক হতে ৷" তৃণমূলের এজেন্ট না-বসার অভিযোগ নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, "আমরা আঠেরোর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশ্বাসী নই ৷ আমি তৃণমূলের কাছে দায়বদ্ধ নই, তৃণমূলের এজেন্ট খুঁজে বের করে বুথে বুথে বসিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার নয় ৷"
আরও পড়ুন: