ETV Bharat / state

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা মেলেনি ! মৃত রোগীর বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল - Doctor Strike in Kolkata - DOCTOR STRIKE IN KOLKATA

TMC Leaders Meet Deceased Family: বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতম জখম সফিকুলের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে ৷ তাঁকে কলকাতার তিনটি নামী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ৷ এবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ৷

TMC Leaders with Deceased Family who died in Road Accident
মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের নেতারা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 12, 2024, 8:35 PM IST

দেগঙ্গা, 12 সেপ্টেম্বর: কলকাতার তিনটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ঘুরেও মেলেনি চিকিৎসা ৷ কার্যত বিনা চিকিৎসায় দেগঙ্গার পেশায় দিনমজুর যুবক সফিকুল ইসলামের প্রাণ গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার । মৃত্যুর জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকেই দায়ী করেছে পরিবার ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷

বৃহস্পতিবার নিহত সফিকুলের দেগঙ্গার বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা ৷ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ৷ এছাড়া স্থানীয় বিধায়ক রহিমা বিবিও ছিলেন প্রতিনিধি দলে । এদিন মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷ নিহত সফিকুলের স্ত্রী সাহিনারা বিবির বায়োডাটা চেয়ে নিয়েছেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁকে চাকরি দেওয়া হতে পারে ৷

গত 1 সেপ্টেম্বর অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে হাবড়ার সোনাকেনিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন সফিকুল ৷ ভোরে সেখান থেকে বাইক চালিয়ে তিনি দেগঙ্গার বাড়িতে ফিরছিলেন ৷ হাবড়া-বেঁড়াচাপা রোড ধরে ফেরার পথে কলাপোল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি ৷ রাস্তার ধারে রাখা ইটের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন সফিকুল ৷ তাঁর মাথায় এবং শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগে বলে জানা যায় ৷

এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় সফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷ কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় 2 অগস্ট আহত সফিকুলকে রেফার করা হয় কলকাতার ন‍্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ তারপর থেকে প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসা পাওয়ার আশায় কলকাতার তিনটি নামী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘুরেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের ৷

দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুরের গাংআটি গ্রামের বাসিন্দা সফিকুল পেশায় একজন দিনমজুর ৷ স্ত্রী, ছ'বছরের পুত্র সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার ৷ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনিই ৷ পরিবারের অভিযোগ, "আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে তিন-তিনটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরলেও আশঙ্কজানক সফিকুলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি ৷ তখন বাধ্য হয়ে তাঁরা বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফিকুলকে নিয়ে যান ৷"

শেষে মঙ্গলবার চিকিৎসারত অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয় সফিকুলের ৷ এদিকে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানিয়েছিলেন উত্তর 24 পরগনার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দেন জেলা নেতৃত্বকে ৷ সেই মতো বৃহস্পতিবার মৃত দিনমজুর সফিকুলের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল ৷

অন‍্যদিকে, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষটিকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারের লোকজন ৷ এই পরিস্থিতিতে মৃত সফিকুলের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন অশোকনগরের বিধায়ক ৷

দেগঙ্গা, 12 সেপ্টেম্বর: কলকাতার তিনটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ঘুরেও মেলেনি চিকিৎসা ৷ কার্যত বিনা চিকিৎসায় দেগঙ্গার পেশায় দিনমজুর যুবক সফিকুল ইসলামের প্রাণ গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার । মৃত্যুর জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকেই দায়ী করেছে পরিবার ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷

বৃহস্পতিবার নিহত সফিকুলের দেগঙ্গার বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা ৷ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ৷ এছাড়া স্থানীয় বিধায়ক রহিমা বিবিও ছিলেন প্রতিনিধি দলে । এদিন মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷ নিহত সফিকুলের স্ত্রী সাহিনারা বিবির বায়োডাটা চেয়ে নিয়েছেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁকে চাকরি দেওয়া হতে পারে ৷

গত 1 সেপ্টেম্বর অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে হাবড়ার সোনাকেনিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন সফিকুল ৷ ভোরে সেখান থেকে বাইক চালিয়ে তিনি দেগঙ্গার বাড়িতে ফিরছিলেন ৷ হাবড়া-বেঁড়াচাপা রোড ধরে ফেরার পথে কলাপোল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি ৷ রাস্তার ধারে রাখা ইটের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন সফিকুল ৷ তাঁর মাথায় এবং শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগে বলে জানা যায় ৷

এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় সফিকুলকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷ কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় 2 অগস্ট আহত সফিকুলকে রেফার করা হয় কলকাতার ন‍্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ তারপর থেকে প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসা পাওয়ার আশায় কলকাতার তিনটি নামী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘুরেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের ৷

দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুরের গাংআটি গ্রামের বাসিন্দা সফিকুল পেশায় একজন দিনমজুর ৷ স্ত্রী, ছ'বছরের পুত্র সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার ৷ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনিই ৷ পরিবারের অভিযোগ, "আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে তিন-তিনটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরলেও আশঙ্কজানক সফিকুলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি ৷ তখন বাধ্য হয়ে তাঁরা বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সফিকুলকে নিয়ে যান ৷"

শেষে মঙ্গলবার চিকিৎসারত অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয় সফিকুলের ৷ এদিকে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানিয়েছিলেন উত্তর 24 পরগনার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দেন জেলা নেতৃত্বকে ৷ সেই মতো বৃহস্পতিবার মৃত দিনমজুর সফিকুলের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল ৷

অন‍্যদিকে, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষটিকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারের লোকজন ৷ এই পরিস্থিতিতে মৃত সফিকুলের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন অশোকনগরের বিধায়ক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.