কলকাতা, 3 নভেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতিবছরই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান হয় । মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতাদের ভাইফোঁটা দেন। এই তালিকায় তৃণমূলের শীর্ষনেতা ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে অরূপ বিশ্বাস, জাভেদ খান এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিদের নাম থাকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল রাজীবব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
ভাইফোঁটার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "প্রতিবছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। দিদির ভাইফোঁটার কোনও তুলনা হয় না। আমার জীবনে কয়েকটা মাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তার জন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি বারবার। বলেছি, যা করেছি তার জন্য আমি অনুতপ্ত । আসলে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সঠিক পথে চলাটাই আসল পরিচয়।"
রাজীব আরও জানান, এই মুহূর্তে দলে তিনি সক্রিয় রয়েছেন। দল যে দায়িত্ব দিচ্ছেন তিনি তা পালন করছেন। তাঁর কথায়, "আমি সক্রিয়ই রয়েছি । এখন মেদিনীপুরের উপনির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছি। দল যখন যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা পালন করেছি । আগামিদিনেও সেটাই করব। দিদির সঙ্গেই থাকব। দিদি যা বলবেন তা-ই করব।"
প্রসঙ্গত, 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর প্রায় ন'মাস বিজেপির পতাকা নিয়ে রাজনীতিও করেছেন । কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে থেকে তৃণমলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল রাজীবের ।
সম্পর্কের সেই ফাটল ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন রাজীব। শেষমেশ দলও ছেড়ে দেন। রুদ্রনীল ঘোষ, রথীন চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজীব এবং আরও কয়েকজনকে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যায় বিজেপি। সেখানেই গেরুয়া শিবিরের সদস্য হন রাজীব। নিজের কেন্দ্র ডোমজুড় থেকে ভোটেও লড়েন। যদিও বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাঁকে । এরপর আবারও পুরনো দলে ফিরে আসেন। সে সময় তৃণমূলেরই একটা অংশে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল।