দত্তপুকুর, 22 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে বিজেপির প্রতিবাদ সভায় তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’ ৷ ওই তৃণমূল নেতা আবার কলকাতা পুলিশের এসআই পদে কর্মরত । অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় অনুগামীদের নিয়ে ওই প্রতিবাদ সভায় আচমকাই তিনি হাজির হন ৷ এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেন ।
অভিযোগ, সৌমেন ওরফে গোপাল কাঞ্জিলাল নামের ওই তৃণমূল নেতা বিজেপি’র সভা বানচাল করার পরিকল্পনা নিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ৷ মঞ্চে উঠেই এক বিজেপি কর্মীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে থাকেন । সেই সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । গোপাল কাঞ্জিলালের ‘দাদাগিরি’র এমনই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ যা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরে ৷ যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে পালটা বিজেপি নেতৃত্বের ঘাড়েই যাবতীয় বিতর্কের দায়ভার ঠেলেছেন ওই তৃণমূল নেতা ৷
আরজি কর কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য ! রাজ্য, দেশ ছেড়ে এই পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও ৷ সেই ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’-এর অভিযোগে শিরোনামে কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্ত ৷ এবার বিতর্কে জড়ালেন কলকাতা পুলিশের এসআই গোপাল কাঞ্জিলাল ৷
ঠিক কী হয়েছে ?
অভিযোগ, বিজেপি’র প্রতিবাদ সভায় গিয়ে ‘দাদাগিরি’ শুরু করেন ওই নেতা । জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডে মঙ্গলবার দত্তপুকুর স্টেশনে প্রতিবাদ সভা ছিল বিজেপির ৷ স্টেশনের 1 নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই সভা চলাকালীন আইএনটিটিইউসি’র আমডাঙা বিধানসভার সভাপতি গোপাল কাঞ্জিলাল প্রথমে বিজেপির প্রতিবাদ মঞ্চের নীচ থেকে হম্বিতম্বি শুরু করেন । এরপর সটান উঠে পড়েন সভামঞ্চে । সেই সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপি নেতা প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় । তাঁর কাছ মাইক কেড়ে নিয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের ‘নীতি’ কথা শোনাতে থাকেন ৷
ওই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘বুড়ো হঠাৎই বিজেপি করছে ! বিজেপি করছে, করুক ৷ কিন্তু, পরিবারের সম্মান যদি না-রাখে, তাহলে কিন্তু আমরা সেটা মেনে নেব না ।’’ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই পাশে থাকা প্রতীপের কাঁধে হাত রেখে বলতে থাকেন, ‘‘ওনাকে আমি চিনি না ৷ কিন্তু, আমি ওনাকে সম্মান করি ।’
ওই বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতা গোপাল কাঞ্জিলাল ও তাঁর সঙ্গীরা মদ্যপ অবস্থায় এসে সভা বানচালের চেষ্টা করেন ৷ সেই চেষ্টা অবশ্য ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ সজাগ থাকার ফলে । আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি ৷’’ অন্যদিকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি বিজেপির প্রতিবাদ সভায় কোনও দাদাগিরি দেখাননি । বিজেপি নেতৃত্ব আরজি করের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুৎসা করছিলেন । সেখানে গিয়ে শুধুমাত্র এই কুৎসার জবাব দিয়েছেন তিনি ।