ভাঙড়, 8 ফেব্রুয়ারি: এলাকায় তোলাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা আরাবুল ইসলাম ৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি ৷ কলকাতা পুলিশের আওতাধীন উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ ভাঙড় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর ৷
অপরাধ বন্ধ করতে ভাঙড়ের বেশ কয়েকটি থানা কলকাতা পুলিশের আওতাধীন করা হয়েছে ৷ তার মধ্যে অন্যতম হল উত্তর কাশীপুর থানা। সম্প্রতি ওই এলাকারই এক বাসিন্দা আবাবুল ইসালামের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার এই প্রথম নয় ৷ এর আগেও শাসকদলের এই নেতাকে একাধিকবার গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। আরাবুল বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ মারধর এবং টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
তবে এখনই কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, আরাবুল ইসলামকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা। কলকাতা পুলিশের অধীনে ভাঙড়ের বেশ কয়েকটি থানা আসার পরেই সেখানকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
বিরোধীরা দাবি করেছিল, আরাবুল ইসলাম-কাইজার আহমেদের মতো তৃণমূলের একাধিক প্রভাবশালী নেতারা রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে তোলাবাজি ও সমাজবিরোধী কাজের ৷ এরপরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলকে নির্দেশ দেয় ভাঙড়ের বেশ কয়েকটি থানা কলকাতা পুলিশের অধীন করতে। তারপরই ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন করা হয়েছে ৷
ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে এলাকায় তোলাবাজির ঘটনায় একাধিকবার নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের এই প্রাক্তন বিধায়কের ৷ পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও এলাকায়া বোমাবাজি থেকে শুরু করে হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এই নেতার ৷ এমনকী পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ ও তৃণমূলের রাজনৈতির হানাহানিরও ঘটনা ঘটে ৷ মৃত্যু হয় একাধিক আইএসএফ কর্মীর ৷ ঘটনায় আরাবুলের নাম জড়ায় ৷
আরও পড়ুন: