ETV Bharat / state

সাংসদের সামনেই বিধায়ককে শারীরিক হেনস্তা, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দল

TMC Inner Clash: মালদায় ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়াল তৃণমূল ৷ সংবাদমাধ্যমের সামনেই ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন দুই নেতার অনুগামীরা ৷ উপস্থিত ছিলেন দলীয় সাংসদও ৷

Etv Bharat
মালদায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 25, 2024, 8:37 AM IST

গোষ্ঠীকোন্দলের মুহূর্তের ভিডিয়ো ও তা নিয়ে সবপক্ষের বক্তব্য

মালদা, 25 ফেব্রুয়ারি: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷ রাজ্যসভার সাংসদের উপস্থিতিতে নিগ্রহ করা হল বিধায়ককে ৷ সবার সামনে ধস্তাধস্তি করতে দেখা গেল তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের ৷ সেই ছবিই উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ৷ যদিও দুই নেতারই দাবি, "এসব বাজে কথা ৷ কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷ " অন্যদিকে, এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সাংসদ মৌসম নূর ৷

শনিবার ঘটনাটি ঘটে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে ৷ সেদিন ওই গ্রামে 100 দিনের কাজ প্রকল্পে উপভোক্তাদের সহায়তা শিবির করেছিল তৃণমূল ৷ তা পরিদর্শনে যান সাংসদ মৌসম নূর, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম-সহ আরও অনেকে ৷ সেখানেই প্রকাশ্যে বচসা ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে রবিউল ও নীহার অনুগামীরা ৷ বিধায়ককেও নিগ্রহ করতে দেখা যায় ৷ পরিস্থিতি বুঝে কার্যত সেখান থেকে পালিয়ে যান তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা ৷

চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ, বরুই, কুশিদা ও তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধুমাত্র রশিদাবাদ ছাড়া বাকি তিনটিতে হেরে যায় তৃণমূল ৷ এর জন্য বিধায়ককেই দায়ী করেন রবিউল অনুগামীরা ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক রবিউল অনুগামী এনামে হায়দারের কথায়, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে নীহাররঞ্জন ঘোষ বিরোধীদের হয়ে কাজ করেছেন ৷ তাঁর জন্য আমরা তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত হারিয়েছি ৷ নির্বাচনের সময় বিধায়ক একদিনও এলাকায় পা রাখেননি ৷ বিরোধীদের নিয়ে মিছিল করেছেন ৷ এসব কারণেই আজ তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে ৷ এখানকার কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় একা আসার ক্ষমতা নেই তাঁর ৷ তাই আজ সবার প্যান্টের দড়ি ধরে তিনি এখানে এসেছিলেন ৷ নীহাররঞ্জন অসম্ভব দুর্নীতিগ্রস্ত ৷"

এদিকে নীহার অনুগামী তজিমুল হকের বক্তব্য, "আজ গেম প্ল্যান করে আমাদের বিধায়ককে এখানে অপমান করা হয়েছে ৷ বিধায়কের তুলসিহাটা দিয়ে এখানে আসার কথা ছিল ৷ আমরা 300 ছেলে সেখানে অপেক্ষা করছিলাম ৷ কিন্তু তাঁকে বরুই দিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ এই ঘটনার পিছনে রবিউলদা আর তার সঙ্গীরা দায়ী ৷ ওরা বিধায়ককে আজ টানাহ্যাঁচড়া করেছে ৷ এসব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া আর কী ৷"

যদিও বিধায়ক নীহাররঞ্জনের দাবি, এই ধরণের কিছুই হয়নি ৷ সব সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার ৷ তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে কোনও ধস্তাধস্তি করা হয়নি ৷ এসব গল্প করে লাভ নেই ৷ আপনারা মনগড়া কথা বলছেন ৷ আমরা সবাই তৃণমূলের সৈনিক ৷ আমাদের মধ্যে কিছু দূরত্ব ছিল ৷ সেটা মিটে গিয়েছে ৷ এখানে কেউ কারও অনুগামী নয় ৷ বিরোধীরা চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷"

এদিকে রবিউল ইসলামের বক্তব্য, "দল বড় হয়েছে ৷ অনেকে স্লোগান দিয়েছে ৷ কোনও ধস্তাধস্তি কিংবা গণ্ডগোল হয়নি ৷ কোনও সমস্যা হয়নি ৷ সবাই দলের ৷ কেউ দলকে কালিমালিপ্ত করেনি ৷ কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷" তবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সাংসদ মৌসম ৷

আরও পড়ুন :

  1. পৌষমেলায় মুখোমুখি অনুপম হাজরা ও বঙ্গ বিজেপির স্টল ! গোষ্ঠীকোন্দলের কটাক্ষ তৃণমূলের
  2. জনপ্রতিনিধির চেয়ে অভিনয়কে বেশি প্রাধান্য দেন; চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র
  3. ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে, অঞ্চল চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার সভাপতির

গোষ্ঠীকোন্দলের মুহূর্তের ভিডিয়ো ও তা নিয়ে সবপক্ষের বক্তব্য

মালদা, 25 ফেব্রুয়ারি: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷ রাজ্যসভার সাংসদের উপস্থিতিতে নিগ্রহ করা হল বিধায়ককে ৷ সবার সামনে ধস্তাধস্তি করতে দেখা গেল তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের ৷ সেই ছবিই উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ৷ যদিও দুই নেতারই দাবি, "এসব বাজে কথা ৷ কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷ " অন্যদিকে, এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সাংসদ মৌসম নূর ৷

শনিবার ঘটনাটি ঘটে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে ৷ সেদিন ওই গ্রামে 100 দিনের কাজ প্রকল্পে উপভোক্তাদের সহায়তা শিবির করেছিল তৃণমূল ৷ তা পরিদর্শনে যান সাংসদ মৌসম নূর, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম-সহ আরও অনেকে ৷ সেখানেই প্রকাশ্যে বচসা ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে রবিউল ও নীহার অনুগামীরা ৷ বিধায়ককেও নিগ্রহ করতে দেখা যায় ৷ পরিস্থিতি বুঝে কার্যত সেখান থেকে পালিয়ে যান তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা ৷

চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ, বরুই, কুশিদা ও তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধুমাত্র রশিদাবাদ ছাড়া বাকি তিনটিতে হেরে যায় তৃণমূল ৷ এর জন্য বিধায়ককেই দায়ী করেন রবিউল অনুগামীরা ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক রবিউল অনুগামী এনামে হায়দারের কথায়, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে নীহাররঞ্জন ঘোষ বিরোধীদের হয়ে কাজ করেছেন ৷ তাঁর জন্য আমরা তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত হারিয়েছি ৷ নির্বাচনের সময় বিধায়ক একদিনও এলাকায় পা রাখেননি ৷ বিরোধীদের নিয়ে মিছিল করেছেন ৷ এসব কারণেই আজ তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে ৷ এখানকার কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় একা আসার ক্ষমতা নেই তাঁর ৷ তাই আজ সবার প্যান্টের দড়ি ধরে তিনি এখানে এসেছিলেন ৷ নীহাররঞ্জন অসম্ভব দুর্নীতিগ্রস্ত ৷"

এদিকে নীহার অনুগামী তজিমুল হকের বক্তব্য, "আজ গেম প্ল্যান করে আমাদের বিধায়ককে এখানে অপমান করা হয়েছে ৷ বিধায়কের তুলসিহাটা দিয়ে এখানে আসার কথা ছিল ৷ আমরা 300 ছেলে সেখানে অপেক্ষা করছিলাম ৷ কিন্তু তাঁকে বরুই দিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ এই ঘটনার পিছনে রবিউলদা আর তার সঙ্গীরা দায়ী ৷ ওরা বিধায়ককে আজ টানাহ্যাঁচড়া করেছে ৷ এসব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া আর কী ৷"

যদিও বিধায়ক নীহাররঞ্জনের দাবি, এই ধরণের কিছুই হয়নি ৷ সব সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার ৷ তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে কোনও ধস্তাধস্তি করা হয়নি ৷ এসব গল্প করে লাভ নেই ৷ আপনারা মনগড়া কথা বলছেন ৷ আমরা সবাই তৃণমূলের সৈনিক ৷ আমাদের মধ্যে কিছু দূরত্ব ছিল ৷ সেটা মিটে গিয়েছে ৷ এখানে কেউ কারও অনুগামী নয় ৷ বিরোধীরা চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷"

এদিকে রবিউল ইসলামের বক্তব্য, "দল বড় হয়েছে ৷ অনেকে স্লোগান দিয়েছে ৷ কোনও ধস্তাধস্তি কিংবা গণ্ডগোল হয়নি ৷ কোনও সমস্যা হয়নি ৷ সবাই দলের ৷ কেউ দলকে কালিমালিপ্ত করেনি ৷ কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷" তবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সাংসদ মৌসম ৷

আরও পড়ুন :

  1. পৌষমেলায় মুখোমুখি অনুপম হাজরা ও বঙ্গ বিজেপির স্টল ! গোষ্ঠীকোন্দলের কটাক্ষ তৃণমূলের
  2. জনপ্রতিনিধির চেয়ে অভিনয়কে বেশি প্রাধান্য দেন; চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র
  3. ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে, অঞ্চল চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার সভাপতির
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.