কোচবিহার, 31 জুলাই: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কোচবিহারের মাথাভাঙা 1 ব্লকের নয়ারহাট এলাকা। পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে SC-ST সেলের অঞ্চল সভাপতির বিবাদ ঘিরে সংঘর্ষ। বাঁশ-লাঠি নিয়ে একে অপরের উপর হামলায় অন্তত 4 জন জখম হয়েছেন ৷ আহতরা মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভোটের পর, মঙ্গলবার শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা ৷ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ রাস্তার কাজের জন্য ঠিকাদারি সংস্থার থেকে 50 হাজার টাকা দাবি করেছিলেন এক পঞ্চায়েত সদস্য ৷ অভিযোগ, তার প্রতিবাদ জনাতেই হামলা করা হয় এসসিএসটি সেলের অঞ্চল সভাপতি ভবেশ বর্মণের উপর ৷
তিনি মঙ্গলবার বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ৷ সেই সময়েই তাঁর উপর হামলার অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্য ধরণী বর্মণ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ বাইকও ভাঙচুর করা হল বলে অভিযোগ ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন এসসিএসটি সেলের অঞ্চল সভাপতির দাদা। ঘটনা প্রসঙ্গে নয়ারহাট এসসিএসটি সেলের অঞ্চল সভাপতি ভবেশ বর্মণ বলেন, "এলাকার একটি রাস্তার কাজের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ঠিকাদারি সংস্থার কাছে 50 হাজার টাকা দাবি করে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই আমার উপর হামলা ৷"
পঞ্চায়েত সদস্য ধরনী বর্মণের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ উঠেছে সেসব ভিত্তিহীন ৷ এসসি-এসটি সেলের অঞ্চল সভাপতি ভবেশ বর্মণের উপর যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁরা বিজেপির লোক। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন ৷ তিনি বলেন, "মদ খেয়ে গালিগালাজ করা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে ৷"
এদিকে এলাকায় উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাথাভাঙা থানার পুলিশবাহিনী। এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে ৷ পুলিশ পিকেট রয়েছে। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি জানান, গ্রামে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে অশান্তি হয়েছে । তবে এরসঙ্গে দলের কেউ জড়িত নয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, এখনও কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি ৷