কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যপালের সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তৃণমূল কংগ্রেসকে সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছেন । আগামী 15 ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় 12 সদস্যের প্রতিনিধিদল রাজভবনে যাবে । মূলত সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে তাদের এই রাজভবনযাত্রা ।
মঙ্গলবার সকালে মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, রাজ্যের নারী, শিশু এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । তাঁরা জানিয়েছেন, 12 সদস্যর এই প্রতিনিধি দল শুধু রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎই করবে না, একইসঙ্গে রাজ্যপালের কাছে তারা জানতে চাইবেন, সন্দেশখালি বা অন্যান্য ইসুতে যেভাবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের 'শিরদাঁড়া থেকে শীতল স্রোত বয়ে যায়', এক্ষেত্রেও তেমন হচ্ছে কি না । অথবা চোপড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কোনও চিঠি লিখবেন কি না, তাও জানতে চাইবে তৃণমূল ।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু বলেন, "বারংবার বিএসএফের তরফ থেকে এই ধরনের ঘটনা । কখনও রাজবংশী যুবককে গুলি থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার, এখানে চার শিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়া হল ।" একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিভাজনেরও অভিযোগ করা হয়েছে । রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, অপরাধীর আবার ধর্ম হয় নাকি । কেউ যদি অপরাধ করে থাকেন, হিন্দু হলেও যেভাবে তা নিন্দনীয়, একইভাবে মুসলমান হলেও নিন্দনীয় । এ সব করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাজ্যে একটা বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছেন ।"
এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই সন্দেশখালি নিয়েও সরব হন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । তিনি বলেন, ফিল্মি কায়দায় সন্দেশখালিতে ভূতের গল্প ছড়ানো হচ্ছে । ভূত কেউ দেখেনি । কার সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে কেউ বলতে পারছেন না । আমি শুনেছি এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে । এসব করে বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: