বাঁকুড়া, 13 সেপ্টেম্বর: এবার 'দোর্দণ্ডপ্রতাপ' তৃণমূল নেতার খোঁজ মিলল বাঁকুড়া শহরে। পুরসভার আলো বিভাগে ঢুকে কর্মীদের ও ইনচার্য অজয় দে'কে 'শারিরীক হেনস্থা' ও অন্যান্য কর্মীদের 'গুলি করে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া'র হুমকি দিলেন 15 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পিঙ্কি চক্রবর্তীর স্বামী বাপি চক্রবর্তী ৷ এমন অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কাজ বন্ধ রাখেন পুরসভার আলো বিভাগে কর্মীরা ৷
অভিযুক্ত বাপি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে 'কড়া ব্যবস্থা' নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেওয়া পর্যন্ত কর্মীরা 'কর্মবিরতি' চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন কর্মীবৃন্দ।
- বাঁকুড়া পুরসভার আলো বিভাগের ইনচার্য অজয় কুমার দে'র দাবি 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী বাপি চক্রবর্তী ও তাঁর দলবল অফিসে ঢুকে অবাধে হামলা চালায়। ফাইল-খাতা, ছুড়ে ফেলে দেওয়া থেকে কর্মীদের হুমকিও দেন ৷
- ওই বিভাগের কর্মীদের দাবি, এর আগেও একাধিকবার বাপি চক্রবর্তী হুমকি দিয়েছেন, তখন বিষয়টি পাত্তা দিইনি। এখন অফিসে ঢুকে হামলা চালানোর পাশাপাশি মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
- সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিআইসি অভিজিৎ দত্ত এবিষয়ে বলেন, "কাউন্সিলর পিঙ্কি চক্রবর্তীর স্বামী যা করেছেন তা সমর্থনযোগ্য নয়, বিষয়টি পুরপ্রধানকে জানিয়েছি ৷"
- উপপুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ বলেন, "বিষয়টি যথেষ্ট নিন্দনীয়। তবে পুজোর মরশুমে কর্মবিরতি না করাই ভালো। এবিষয়ে পুরপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করব।" তবে কিছু হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
- যদিও ওই 15 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী বাপি চক্রবর্তী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন ৷ তিনি বলেন, "এটা শুধুমাত্র প্রতিবাদের ভাষা।"
- বাঁকুড়া জেলা বিজেপির সহসভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন, "আমরা দলের তরফে ওই ঘটনার নিন্দা করছি। অতিতে এই ধরণের ঘটনার সাক্ষী বাঁকুড়া ছিল না। কাদের মদতে এই দাদাগিরি চলছে খুঁজে বের করতে হবে।" এর বিহিত না-হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।