কলকাতা, 23 মে: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কোটে বুকের উপর লাগানো বিজেপির লোগো পদ্মফুল ৷ এই নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাদের যুক্তি, রাজ্যপালকে নির্বাচন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি ৷ তাই তিনি কোনও নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ করতে পারেন না ।
একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বুকে বিজেপির লোগো পদ্ম দেখা যাওয়ার পরই এ বিষয়ে তৎপর হয় শাসকদল ৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যপাল হয়ে একটি দলের প্রতীক ব্যবহার করা অগণতান্ত্রিক এবং অসংবিধানিক । চিঠিতে তারা এই বিষয়টি উল্লেখ করার পাশাপাশি বিজেপির প্রতীক বুকে লাগানো অবস্থায় রাজ্যপালের ছবিও জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে ৷
ভোটের বাংলায় বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না রাজ্যপালের । এ বার তাঁর বুকে পদ্ম চিহ্ন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস । গত মঙ্গলবার রাজ্যপালের বুকে পদ্ম চিহ্নের ব্যাজ পরা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ । ওই ছবি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, সম্প্রতি রাজ্যপালের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে রাজ্যপালের বুকে রয়েছে একটি ব্যাজ, যেটি ভারতীয় জনতা দল বা বিজেপির ।
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, "রাজ্যপাল নিশ্চয়ই বলতে পারবেন এই ছবিটি আসল নাকি ফেক । যদি সত্যিই এই ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাঁকে বলতে হবে কবে কোথায় এই ব্যাজ তিনি ব্যবহার করেছেন । এ ক্ষেত্রে যদি রাজ্যপাল থাকাকালীন তিনি এই ব্যাজ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আমাদের দাবি এই মুহূর্তেই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত । বিজেপিকে বুকে ধারণ করা রাজ্যপালের বাংলার পবিত্র এই রাজভবনে থাকার এক মুহূর্ত অধিকার নেই ।"
তবে বিষয়টা এখানেই থেমে নেই ৷ এ বার এটাকেই অস্ত্র করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল ৷ আজ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে রীতিমতো চিঠি লিখে এই নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হয়েছে । এই অবস্থায় এটাই দেখার যে, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যপাল বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেন কি না ।
যদিও এ দিন তৃণমূলের তরফ থেকে দলের অন্যতম মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্যপালের পদটি সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক পদ । দূর দূর পর্যন্ত এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই । এই অবস্থায় তাঁর গলায় একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতীক দেখতে পাওয়া যাওয়ার অর্থই তিনি তাঁর পদের অপব্যবহার করছেন । নির্বাচনের সময় এটা করার অর্থ, তিনি নির্বাচনী আইন ভাঙছেন । আর সেই কারণেই আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি ৷"
আরও পড়ুন: