ETV Bharat / state

আজই দেশে লাগু ফৌজদারি তিন আইন, 'অসাংবিধানিক' বলল তৃণমূল - three criminal laws

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 30, 2024, 10:56 PM IST

Updated : Jul 1, 2024, 9:04 AM IST

Bharatiya Nyaya Sanhita: সোমবারই দেশজুড়ে লাগু হচ্ছে তিন নয়া ফৌজদারি আইন ৷ তার আগে এই তিন আইনকে 'ড্রাকোনিয়ান' এবং অসংবিধানিক বলে ফের সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল ৷

Bharatiya Nyaya Sanhita
সোমেই লাগু ফৌজদারি তিন আইন (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 30 জুন: আজ, সোমবার ফৌজদারি তিন আইন কার্যকরী হতে চলেছে দেশে। তার আগে রবিবার তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের এই তিন আইনকে 'ড্রাকোনিয়ান' বা কালা আইন বলে উল্লেখ করেছে রাজ্যের শাসকদল ৷ একইসঙ্গে এই আইনকে অসংবিধানিকও বলছে তারা ৷

লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই তিন আইন সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেয়নি বিরোধী দলগুলি। সংসদের বাইরেও এই আইন আনার বিরুদ্ধে সমান প্রতিবাদ জানান তারা। এই আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। এত বিতর্কের পরেও সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়ে যায় এই তিন আইনের বিল। ডিসেম্বর ২০২৩-এ ওই বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ।

প্রসঙ্গত, এই আইন এখনই লাগু না করার জন্য অনুরোধ করে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় এই নিয়ে সুরও চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ান এবং লোকসভায় এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন লোকসভার উপ-দলনেতা কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু তারপরেও এই আইনকে আটকানো যায়নি। বিশেষত ইন্ডিয়া জোটের অল আউট বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও এই আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনার পথে না হেঁটে আগামিকাল থেকেই তা লাগু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেখানেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল।

রবিবার রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন নিজে সরাসরি বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম মোদি সরকার এই আইন লাগু করার আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দেওয়া চিঠিকে বিবেচনা করবেন। আমাদের প্রধান দাবি ছিল এটাই ৷ যেহেতু এই আইন যখন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল, তখন সেখানে বিরোধী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না । ফলে এই বিষয়টা সংসদে ঠিক মতো আলোচনাই হয়নি। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকার একতরফাভাবে এই আইন লাগু করতে চাইছে।" সঠিক পর্যালোচনা ছাড়া এই আইন লাগু হওয়া অত্যন্ত ভয়ানক হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা 2023', 'ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়াম 2023' এবং 'ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা 2023'- এই তিন আইনের বিরোধিতা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিল লাগু হওয়ার 24 ঘণ্টা আগেও এর বিরোধিতা জারি রাখছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইনের অপব্যবহার হতে পারে পূর্বে আন্দাজ করেই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। সেই জায়গা থেকে সঠিক আলোচনা ছাড়া এই আইন লাগু হওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর বিরোধিতা শুরু থেকে করে আসছি আগামী দিনেও করব।"

কলকাতা, 30 জুন: আজ, সোমবার ফৌজদারি তিন আইন কার্যকরী হতে চলেছে দেশে। তার আগে রবিবার তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের এই তিন আইনকে 'ড্রাকোনিয়ান' বা কালা আইন বলে উল্লেখ করেছে রাজ্যের শাসকদল ৷ একইসঙ্গে এই আইনকে অসংবিধানিকও বলছে তারা ৷

লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই তিন আইন সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনায় অংশ নেয়নি বিরোধী দলগুলি। সংসদের বাইরেও এই আইন আনার বিরুদ্ধে সমান প্রতিবাদ জানান তারা। এই আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। এত বিতর্কের পরেও সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়ে যায় এই তিন আইনের বিল। ডিসেম্বর ২০২৩-এ ওই বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ।

প্রসঙ্গত, এই আইন এখনই লাগু না করার জন্য অনুরোধ করে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় এই নিয়ে সুরও চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ান এবং লোকসভায় এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন লোকসভার উপ-দলনেতা কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কিন্তু তারপরেও এই আইনকে আটকানো যায়নি। বিশেষত ইন্ডিয়া জোটের অল আউট বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও এই আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনার পথে না হেঁটে আগামিকাল থেকেই তা লাগু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেখানেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল।

রবিবার রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন নিজে সরাসরি বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম মোদি সরকার এই আইন লাগু করার আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দেওয়া চিঠিকে বিবেচনা করবেন। আমাদের প্রধান দাবি ছিল এটাই ৷ যেহেতু এই আইন যখন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল, তখন সেখানে বিরোধী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না । ফলে এই বিষয়টা সংসদে ঠিক মতো আলোচনাই হয়নি। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকার একতরফাভাবে এই আইন লাগু করতে চাইছে।" সঠিক পর্যালোচনা ছাড়া এই আইন লাগু হওয়া অত্যন্ত ভয়ানক হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা 2023', 'ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়াম 2023' এবং 'ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা 2023'- এই তিন আইনের বিরোধিতা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিল লাগু হওয়ার 24 ঘণ্টা আগেও এর বিরোধিতা জারি রাখছে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইনের অপব্যবহার হতে পারে পূর্বে আন্দাজ করেই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। সেই জায়গা থেকে সঠিক আলোচনা ছাড়া এই আইন লাগু হওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর বিরোধিতা শুরু থেকে করে আসছি আগামী দিনেও করব।"

Last Updated : Jul 1, 2024, 9:04 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.