বর্ধমান, 2 জুন: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এমন ফল করবে যে বিরোধীদের শক্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকবে না। তাদের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠবে এইভাবেই বিরোধীদের কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার বর্ধমানে দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি জাতীয় কংগ্রেস ও কেজরিওয়ালকেও একহাত নেন।
প্রধানমন্ত্রীর ধ্যান করা নিয়ে কংগ্রেসের কমিশনে অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সবকিছুতে নালিশ, মোদিজি কেন পরোটা খেলেন, সেখানে নালিশ, মোদিজি কেন ঢোকলা খেলেন, সেটা নিয়ে নালিশ ! যদি বাংলায় এসে এখানকার খাবার খান সেটাতেও নালিশ ৷ সব ব্যাপারে নালিশ ! তো নালিশ করবেন, না রাজনীতি করবেন ? পাবলিকের কাছে যান না ৷ সব সময় নির্বাচন কমিশন, না হলে আদালত ৷ এটা লড়াই করার জায়গা নয় ৷ লড়াই করার জায়গা হচ্ছে, যেটা সাধারণ সমাজের যে যেখানে থাকেন, ময়দান সেখানে লড়া উচিৎ ৷ সে লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ মোদিজি সেই লড়াই জিতে নিয়েছেন ৷ এই সব নালিশের কোনও মানেই হয় না ৷ ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে ৷" অন্যদিকে, কেজরিওয়ালকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ওজন তো বাড়বে যখন জেলে থাকবেন। তিহাড় জেলে খুব ভালো ব্যবস্থা আছে, ভোট হয়ে গেলে আবার যেতে হবে ভিতরে। ওখানকার চিকিৎসার সব সুযোগ পাবেন ৷ লম্বা সময় ধরে পাবেন, অপেক্ষা করুন।"
শেষ দিনের প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিলীপ ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়ানোর কথাও দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ৷ তার পালটা এদিন দিলীপ বলেন, "যার দম আছে, পশ্চিমবাংলায় যে কোনও জায়গায় জিততে পারে। আর যার দম নেই, তার কী করার আছে ? দম থাকলে বেরিয়ে এসে লড়ুন, জিতুন। কলকাতায় দাঁড়াতে পারতেন, বর্ধমানে আসতে পারতেন।" নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকেও খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ ৷ তাঁর কথায়, "একবার ওনার পিসিমণি গিয়েছিলেন, কী দুর্দশা হয়েছে, মেদিনীপুরের লোক নাক-কান কেটে দিয়েছে। আর যাবেন না কোথাও ৷ বুঝে গিয়েছেন তাদের দাম কতটা। বাংলার বাইরে কোথাও পা রাখতে পারলেন না ৷ হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটা বিধায়ক, সাংসদ, একটা পঞ্চায়েতে জিততে পারলেন না ৷ ত্রিপুরায় একটা কাউন্সিলার জিতেছিল সেও দু'দিন পর চলে গেল বিজেপিতে, তো তাদের দম জানা আছে।"