ETV Bharat / state

'বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিলই, তবে কেউ খারাপ ব্যবহার করেননি', মত বিকাশের - Bikash Ranjan Bhattacharya - BIKASH RANJAN BHATTACHARYA

Bikash Ranjan Bhattacharya: "তাঁদের মনে ভয় তাদের চাকরি চলে যেতে পারে ৷" কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে চাকরিরত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷

Bikash Ranjan Bhattacharya
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 30, 2024, 11:20 PM IST

কলকাতা, 30 এপ্রিল: কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে চাকরিরত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তাঁর কথায়, "আমি তাঁদেরকে দোষ দিচ্ছিনা ৷ হয় তাঁদের মনে ভয় চাকরি চলে যেতে পারে, না-হয় পিসি ভাইপোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা বলছেন, আমি তাঁদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছি । কিন্তু আমার পেটে খিদে নেই । আমি চাকরি নিয়ে কী করব?"

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "যাঁরা মামলা করছেন তাঁরাও যোগ্য। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি হলে তো চাকরি যাবেই । সে বিষয়ে আদালত বিচার করবে । কিছু কিছু অর্বাচীন রাজনৈতিক নেতা এঁদের উত্তেজিত করছেন । তার ফলেই এটা হয়েছে । আমার সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি । তবে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, তা প্রমাণিত ।"

সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় 26 হাজার ছেলে-মেয়ের ৷ উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের শাসক দল এবং এসএসসি ৷ যদিও সেখান থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে রাজ্যকে ৷ নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়ে বিজেপি ও সিপিএম-কে একযোগে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, দুই দলের মধ্যে নতুন বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গে বিকাশ বলেন, "তৃণমূল দলটাই দুর্নীতির মধ্যে দিয়েই তৈরি হয়েছে । তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমি 2011 সাল থেকে এককভাবে লড়াই করে যাচ্ছি । আমি বিভিন্ন সময় মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকেছি । দুর্নীতি যুক্ত একটা চাকরিও থাকবে না । তৃণমূলিরা আসলে আত্মহননের পথে যাচ্ছে ।" এদিনের বিক্ষোভ পরিকল্পিত কি না সেই ব্যাপারে তিনি বলেন, "কয়েক জনকে দেখে আমার সেটাই মনে হচ্ছিল যে ওঁরা তৈরি হয়ে এসেছেন । না হলে ওঁরা কী করে জানলেন যে আমিই ওঁদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছি?"

রাজ্য সরকারের কাছে 'নো ডিউস ক্লিয়ারেন্স' সার্টিফিকেট না পাওয়ায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ৷ যা নিয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে, পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন দেবাশিস ৷ কিন্তু মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি সূর্যকান্ত শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত । সেই বিষয়ে বিকাশ বলেন, "এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট কেউই হস্তক্ষেপ করতে পারে না । এটা ইলেকশন পিটিশন সংক্রান্ত বিষয় হতে পারে ৷ বিষয়টি নিয়ে দেবাশিসবাবুর জানা উচিত ছিল ৷ তিনি নো ডিউস সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন নি কেন?"

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 30 এপ্রিল: কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে চাকরিরত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তাঁর কথায়, "আমি তাঁদেরকে দোষ দিচ্ছিনা ৷ হয় তাঁদের মনে ভয় চাকরি চলে যেতে পারে, না-হয় পিসি ভাইপোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা বলছেন, আমি তাঁদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছি । কিন্তু আমার পেটে খিদে নেই । আমি চাকরি নিয়ে কী করব?"

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "যাঁরা মামলা করছেন তাঁরাও যোগ্য। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি হলে তো চাকরি যাবেই । সে বিষয়ে আদালত বিচার করবে । কিছু কিছু অর্বাচীন রাজনৈতিক নেতা এঁদের উত্তেজিত করছেন । তার ফলেই এটা হয়েছে । আমার সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি । তবে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, তা প্রমাণিত ।"

সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় 26 হাজার ছেলে-মেয়ের ৷ উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের শাসক দল এবং এসএসসি ৷ যদিও সেখান থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে রাজ্যকে ৷ নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়ে বিজেপি ও সিপিএম-কে একযোগে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, দুই দলের মধ্যে নতুন বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গে বিকাশ বলেন, "তৃণমূল দলটাই দুর্নীতির মধ্যে দিয়েই তৈরি হয়েছে । তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমি 2011 সাল থেকে এককভাবে লড়াই করে যাচ্ছি । আমি বিভিন্ন সময় মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকেছি । দুর্নীতি যুক্ত একটা চাকরিও থাকবে না । তৃণমূলিরা আসলে আত্মহননের পথে যাচ্ছে ।" এদিনের বিক্ষোভ পরিকল্পিত কি না সেই ব্যাপারে তিনি বলেন, "কয়েক জনকে দেখে আমার সেটাই মনে হচ্ছিল যে ওঁরা তৈরি হয়ে এসেছেন । না হলে ওঁরা কী করে জানলেন যে আমিই ওঁদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছি?"

রাজ্য সরকারের কাছে 'নো ডিউস ক্লিয়ারেন্স' সার্টিফিকেট না পাওয়ায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ৷ যা নিয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে, পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন দেবাশিস ৷ কিন্তু মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি সূর্যকান্ত শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত । সেই বিষয়ে বিকাশ বলেন, "এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্ট কেউই হস্তক্ষেপ করতে পারে না । এটা ইলেকশন পিটিশন সংক্রান্ত বিষয় হতে পারে ৷ বিষয়টি নিয়ে দেবাশিসবাবুর জানা উচিত ছিল ৷ তিনি নো ডিউস সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন নি কেন?"

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.