ETV Bharat / state

'আসানসোলের দুঃস্থ-মেধাবী ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিল বুদ্ধবাবুর জন্যই', স্মৃতিচারণায় পার্থ - Buddhadeb Bhattacharjee Passes Away

Buddhadeb Bhattacharjee Passes Away: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেওয়া নির্দেশ যেন আজও কানে বাজে প্রভাবশালী সিপিএম নেতা তথা দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার করলেন তারই স্মৃতিচারণা ৷

Partha Mukherjee
স্মৃতিচারণায় পার্থ মুখোপাধ্যায় (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 8, 2024, 10:31 PM IST

আসানসোল, 8 অগস্ট: 'পবনকে দেখো পার্থ, ওর পাশে আমাদের থাকতে হবে ৷' ফোনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেওয়া সেই নির্দেশ যেন আজও কানে বাজে প্রভাবশালী সিপিএম নেতা তথা দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়ের। ইটিভি ভারতের সঙ্গে আলাপচারিতায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিয়ে স্মৃতিচারণায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।

স্মৃতিচারণায় পার্থ মুখোপাধ্যায় (ইটিভি ভারত)

পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আসানসোলের বহু দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ শুধু তাই নয়, সেই সময়কালে উচ্চশিক্ষার জন্য 30 হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।" একসময় তাঁর ঘনিষ্ট ছিলেন প্রভাবশালী সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়। বর্ধমানের মানুষ হলেও, পার্টি তাঁকে আসানসোলের দায়িত্ব দিয়েছে ৷ বহুবছর ধরে তিনি আসানসোলে। কিন্তু বুদ্ধবাবুর ঘনিষ্ট হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন যখন তিনি এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক হয়েছিল। তখন প্রায়শই নানা বিষয়ে কথা হতো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে। পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "উনি মহাকরণ যাওয়ার আগে একবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে আসতেনই। প্রতিদিনের রুটিন ছিল। সেই সময় কত কথা হতো। আদর্শের কথা হতো। মুল্যবোধের কথা হতো। আমরা শিক্ষিত হয়েছি। সমৃদ্ধ হয়েছি ওনার কাছে।"

আসানসোলের সঙ্গেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল অতি নিবিড়। পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আসানসোলের এই আপকার গার্ডেন দলীয় অফিসে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বহুবার এসেছেন। এখানে বিজয় পাল থেকে শুরু করে গৌতম রায় চৌধুরী-সহ বিভিন্ন নেতারা তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আসানসোলের কুন্ডু হোটেল থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের খাবার আসত। শুধু তাই নয় আসানসোলে কোর্টের পাশে গঙ্গা হোটেলের খাবার তিনি বিশেষ পছন্দ করতেন।"
ইস্কো কারখানার যে আধুনিকীকরণ হয়েছিল এবং বর্তমান যে আধুনিকীকরণ প্রকল্প চলছে সেই আধুনিকীকরণের পথে যে বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই বাধার পাহাড় কেটে পরিস্কার করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পার্থ মুখোপাধ্যায়ের দাবি "বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য না থাকলে বার্নপুরের ইসকো এবং কুলটি কারখানার বাঁচত না।"

পার্থ মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, "বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন দূরদর্শী। তিনি অনেক আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাস স্ট্যান্ডার্ড কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি বহু চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু দেখুন, কারখানাটিকে আর বাঁচানো গেল না। হিন্দুস্তান কেবলস নিয়েও তিনি খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। উদ্বিগ্ন ছিলেন চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস নিয়েও। এই কারখানাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে তিনি অনেক লড়াই করেছেন। কিন্তু, হিন্দুস্তান কেবলস বন্ধ হয়ে গেল।"

আসানসোল, 8 অগস্ট: 'পবনকে দেখো পার্থ, ওর পাশে আমাদের থাকতে হবে ৷' ফোনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেওয়া সেই নির্দেশ যেন আজও কানে বাজে প্রভাবশালী সিপিএম নেতা তথা দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়ের। ইটিভি ভারতের সঙ্গে আলাপচারিতায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিয়ে স্মৃতিচারণায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।

স্মৃতিচারণায় পার্থ মুখোপাধ্যায় (ইটিভি ভারত)

পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আসানসোলের বহু দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ শুধু তাই নয়, সেই সময়কালে উচ্চশিক্ষার জন্য 30 হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।" একসময় তাঁর ঘনিষ্ট ছিলেন প্রভাবশালী সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়। বর্ধমানের মানুষ হলেও, পার্টি তাঁকে আসানসোলের দায়িত্ব দিয়েছে ৷ বহুবছর ধরে তিনি আসানসোলে। কিন্তু বুদ্ধবাবুর ঘনিষ্ট হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন যখন তিনি এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক হয়েছিল। তখন প্রায়শই নানা বিষয়ে কথা হতো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে। পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "উনি মহাকরণ যাওয়ার আগে একবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে আসতেনই। প্রতিদিনের রুটিন ছিল। সেই সময় কত কথা হতো। আদর্শের কথা হতো। মুল্যবোধের কথা হতো। আমরা শিক্ষিত হয়েছি। সমৃদ্ধ হয়েছি ওনার কাছে।"

আসানসোলের সঙ্গেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল অতি নিবিড়। পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, "আসানসোলের এই আপকার গার্ডেন দলীয় অফিসে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বহুবার এসেছেন। এখানে বিজয় পাল থেকে শুরু করে গৌতম রায় চৌধুরী-সহ বিভিন্ন নেতারা তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আসানসোলের কুন্ডু হোটেল থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের খাবার আসত। শুধু তাই নয় আসানসোলে কোর্টের পাশে গঙ্গা হোটেলের খাবার তিনি বিশেষ পছন্দ করতেন।"
ইস্কো কারখানার যে আধুনিকীকরণ হয়েছিল এবং বর্তমান যে আধুনিকীকরণ প্রকল্প চলছে সেই আধুনিকীকরণের পথে যে বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই বাধার পাহাড় কেটে পরিস্কার করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পার্থ মুখোপাধ্যায়ের দাবি "বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য না থাকলে বার্নপুরের ইসকো এবং কুলটি কারখানার বাঁচত না।"

পার্থ মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, "বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন দূরদর্শী। তিনি অনেক আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বাস স্ট্যান্ডার্ড কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি বহু চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু দেখুন, কারখানাটিকে আর বাঁচানো গেল না। হিন্দুস্তান কেবলস নিয়েও তিনি খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। উদ্বিগ্ন ছিলেন চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস নিয়েও। এই কারখানাগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে তিনি অনেক লড়াই করেছেন। কিন্তু, হিন্দুস্তান কেবলস বন্ধ হয়ে গেল।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.