আলিপুরদুয়ার, 23 অক্টোবর: আট দিন আগে মোমো, চাওমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বাড়ি থেকে বছর সাতেকের এক নাবালিকাকে নিয়ে যান ওই এলাকার বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি । আর তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর পরিবারের আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয়রা ওই নাবালিকাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও ওই নাবালিকার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ।
এরপর জয়গাঁও থানায় একটি অভিযোগ করেন নাবালিকার পরিবারের লোকেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও থানার পুলিশ। তদন্ত করে আলিপুরদুয়ার জেলার সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁওর পরিত্যক্ত এক জমির ঝোপ থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ মঙ্গলবার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে নেপাল বর্ডার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনায় যুক্ত আরও দুজনকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ মেলায় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাদেরও গ্রেফতার করে পুলিশ।
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, "কিছুদিন আগে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ আসে যে, বছর সাতেকের একটি মেয়ে নিখোঁজ। আমরা থানার থেকে একটি কেস করে তদন্ত শুরু করি। ওই অভিযোগপত্রে যে অভিযুক্তর নাম দেওয়া ছিল, তাকে আমরা খোঁজা শুরু করি। আমরা অনেক জয়গার সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্য সংগ্রহ করি। আমাদের কাছে খবর আসে যে, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি বাইরে পালিয়ে গিয়েছে। আমাদের একটি টিম তদন্ত করে জানতে পারে যে, ওই ব্যক্তি নেপালে থাকতে পারে। এর পরে আমরা আজ সকালে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নেপাল বর্ডার থেকে গ্রেফতার করি। নাবালিকার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নাবালিকার সঙ্গে কী কী করা হয়েছে, তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে আমরা সেটা জানতে পারব।"