ETV Bharat / state

এ বছর হচ্ছে না টেট, কথা রাখতে ব্যর্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি

সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রতি বছর টেট পরীক্ষা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন গৌতম পাল ৷ তবে 2024 সালে টেট পরীক্ষা না-হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ৷

Teacher Eligibility Test
এ বছর হচ্ছে না টেট পরীক্ষা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

Updated : 3 hours ago

কলকাতা, 28 অক্টোবর: কথা রাখলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ৷ এই বছর হচ্ছে না টেট পরীক্ষা ৷ এমনটাই ইঙ্গিত মিলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কথা থেকেই । কারণ গৌতম পাল বলেন, "নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত টেট পরীক্ষা হবে না । ফলে টেট পরীক্ষার সময় বেশ কিছুটা পিছিয়ে যাবে ।"

পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার ফলে আদৌ তা এ বছর হবে কি না, সেই নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ । যদিও 2022 সালে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গৌতম পাল বলেছিলেন, "প্রতি বছর টেট পরীক্ষা হবে ।"

Teacher Eligibility Test
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (নিজস্ব ছবি)

2014 সালে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা আজও ধর্মতলায় ধরনা মঞ্চে বসে রয়েছেন । চাকরির দাবি নিয়ে চলছে তাঁদের লাগাতার এই ধরনা । এছাড়াও অপেক্ষায় রয়েছেন 2017, 2022-এর চাকরিপ্রার্থীরা । তার পাশাপাশি 2023 সালে যে টেট পরীক্ষা হল, তার ফলও এখনও প্রকাশ হয়নি । ফলে আগে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই আগামিদিনে টেট পরীক্ষা হবে বলে জানা যাচ্ছে ।

সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, "সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু মামলা চলছে ৷ তাই জন্য আমরা 2023 সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারছি না । এ দিকে 2022 সালের প্রার্থীরা এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন । তাই আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়াটা চালু করেই পরীক্ষার দিকে এগোব । আশা করছি, আগামী বছরের প্রথমদিকে পরীক্ষা নিতে পারব ।"

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এহেন পদক্ষেপে 2014 সালের টেট পাশ চাকরিপ্রার্থী অর্ণব ঘোষ বলেন, "এই সরকার ভোটের সরকার । শুধু ভোট হলেই নিয়োগ বা পরীক্ষা হয় । এই সরকারের কাছে দুর্নীতিই মূল জায়গা হয়ে রয়েছে । এত এত পরীক্ষা হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না । দুর্নীতির খতিয়ান এত পরিমাণে রয়েছে যে, নিয়োগের সদিচ্ছাই এদের নেই ।"

অন্যদিকে 2022 সালে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থী মোহিত করাতির কথায়, "আমরা এটা বহুদিন ধরে বলে আসছি । আগে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক, তারপর আগামিদিকে এগোবে পর্ষদ । রাজ্য সরকারের স্কুলগুলিতে যে শূন্য পদগুলি রয়েছে, অবিলম্বে নিয়োগ করে তা পূরণ করুক । কেন শিক্ষা দফতর এর অনুমোদন দিচ্ছে না, তা বুঝতে পারছি না ।"

এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় সিপিএমের সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এই সরকারের নিয়োগ করার ক্ষমতা নেই । কারণ, তহবিল শূন্য । তাছাড়া, আগে যা হয়েছে, তা দুর্নীতিপূর্ণ । লাখ লাখ টাকা তুলেছে । নতুন করে টাকা তুলতে পারবে না । এ কারণেই তারা নিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে ।"

কলকাতা, 28 অক্টোবর: কথা রাখলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ৷ এই বছর হচ্ছে না টেট পরীক্ষা ৷ এমনটাই ইঙ্গিত মিলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কথা থেকেই । কারণ গৌতম পাল বলেন, "নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত টেট পরীক্ষা হবে না । ফলে টেট পরীক্ষার সময় বেশ কিছুটা পিছিয়ে যাবে ।"

পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার ফলে আদৌ তা এ বছর হবে কি না, সেই নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ । যদিও 2022 সালে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গৌতম পাল বলেছিলেন, "প্রতি বছর টেট পরীক্ষা হবে ।"

Teacher Eligibility Test
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (নিজস্ব ছবি)

2014 সালে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা আজও ধর্মতলায় ধরনা মঞ্চে বসে রয়েছেন । চাকরির দাবি নিয়ে চলছে তাঁদের লাগাতার এই ধরনা । এছাড়াও অপেক্ষায় রয়েছেন 2017, 2022-এর চাকরিপ্রার্থীরা । তার পাশাপাশি 2023 সালে যে টেট পরীক্ষা হল, তার ফলও এখনও প্রকাশ হয়নি । ফলে আগে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই আগামিদিনে টেট পরীক্ষা হবে বলে জানা যাচ্ছে ।

সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, "সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু মামলা চলছে ৷ তাই জন্য আমরা 2023 সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারছি না । এ দিকে 2022 সালের প্রার্থীরা এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন । তাই আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়াটা চালু করেই পরীক্ষার দিকে এগোব । আশা করছি, আগামী বছরের প্রথমদিকে পরীক্ষা নিতে পারব ।"

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এহেন পদক্ষেপে 2014 সালের টেট পাশ চাকরিপ্রার্থী অর্ণব ঘোষ বলেন, "এই সরকার ভোটের সরকার । শুধু ভোট হলেই নিয়োগ বা পরীক্ষা হয় । এই সরকারের কাছে দুর্নীতিই মূল জায়গা হয়ে রয়েছে । এত এত পরীক্ষা হচ্ছে, কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না । দুর্নীতির খতিয়ান এত পরিমাণে রয়েছে যে, নিয়োগের সদিচ্ছাই এদের নেই ।"

অন্যদিকে 2022 সালে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থী মোহিত করাতির কথায়, "আমরা এটা বহুদিন ধরে বলে আসছি । আগে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক, তারপর আগামিদিকে এগোবে পর্ষদ । রাজ্য সরকারের স্কুলগুলিতে যে শূন্য পদগুলি রয়েছে, অবিলম্বে নিয়োগ করে তা পূরণ করুক । কেন শিক্ষা দফতর এর অনুমোদন দিচ্ছে না, তা বুঝতে পারছি না ।"

এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় সিপিএমের সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এই সরকারের নিয়োগ করার ক্ষমতা নেই । কারণ, তহবিল শূন্য । তাছাড়া, আগে যা হয়েছে, তা দুর্নীতিপূর্ণ । লাখ লাখ টাকা তুলেছে । নতুন করে টাকা তুলতে পারবে না । এ কারণেই তারা নিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে ।"

Last Updated : 3 hours ago
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.