ETV Bharat / state

'জাগো দশপ্রহরণধারিণী...' মহিষাসুরকে বধ করতে দেবীর হাতে অস্ত্র তুলে দেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর - Durga Puja 2024

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 3, 2024, 7:20 AM IST

Updated : Jul 3, 2024, 10:47 AM IST

Mythological weapons of Devi Durga: পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা দেবী দুর্গা। তিনিই দেবাদিদেব মহাদেবের স্ত্রী পার্বতী। এই পার্বতীই শক্তির প্রতীক দুর্গারূপ ধারণ করে অধর্মকে বিনাশ করেন। স্বর্গলোকে দেবতাদের অসুররাজের কবল থেকে রক্ষা করতেই দেবী দুর্গার সৃষ্টি করেন স্বয়ং ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। মহিষাসুরকে বধ করতে কোন দেবতা, কোন অস্ত্র দেন দেবীকে, তার মহিমা কী জেনে নেওয়া যাক ৷

Mythological weapons of Devi Durga
91 দিন পরেই মাতৃপক্ষের সূচণা হতে চলেছে (ইটিভি ভারত)

হায়দরাবাদ, 3 জুলাই: মা দুর্গা দশভূজা ৷ দশপ্রহরণধারণী ৷ যিনি অভয়শক্তি দেন ৷ তিনি বলপ্রদায়িনী ৷ মা দুর্গাকে জাগানোর সময় এগিয়ে আসছে ৷ 91 দিন পরেই মাতৃপক্ষের সূচণা হতে চলেছে ৷ মহালয়া ছাড়াও প্রতিবারই মা দুর্গাকে ঘিরে নানা পুরাণ কথা জানতে-শুনতে ভালো লাগে ৷ পুজোর আগে আগে আর একবার তাই স্মৃতিতে ধার দেওয়া যাক ৷ দশভূজার দশ হাতে কী কী অস্ত্র থাকে, তার মাহাত্ম্য কী, তারই বিশ্লেষণ রইল সংক্ষেপে ৷

দেবী মূর্তির দিকে তাকালে দেখা যায়, আটটি হাতে পৃথক পৃথক অস্ত্র থাকলেও দুটি হাতে একটিই ত্রিশূল ধারণ করে দেবী মহিষাসুর বধ করছেন ৷ হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, অসুরকে বধ করতে প্রত্যেক দেবতা দেবীকে অস্ত্র প্রদান করেন, যেগুলির মাহাত্ম্যও আলাদা ৷

চক্র: শ্রীবিষ্ণু মহিষাসুর বধ করার জন্য নিজের চক্র থেকে এই চক্রের সৃষ্টি করে দুর্গাকে দান করেন ৷ এই চক্র রয়েছে দেবী দুর্গার জান হাতে ৷

ত্রিশূল: এই অস্ত্রে রয়েছে তিনটি ফলা, যার অর্থও আলাদা ৷ দেবাদিদেব মহাদেব এই অস্ত্র প্রদান করেছেন দেবীকে ৷ শাস্ত্র মতে ত্রিশূল হল ত্রিগুণের প্রতীক অর্থাৎ সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ গুণের প্রতীক ৷

শঙ্খ: শঙ্খ জাগরণের প্রতীক ৷ দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দিয়েছিলেন বরুণদেব ৷ এটি থাকে দেবী দুর্গার বাম হাতে ৷

বজ্র: দেবরাজ ইন্দ্র এই অস্ত্র দান করেন দশভূজাকে ৷ বজ্রাস্ত্র কঠোর ও সংহতির প্রতীক ৷ দেবীর বাম হাতে থাকা এই বজ্র তৈরি হয়েছিল দধীচী মুনির হাড় দিয়ে ৷

গদা: গদা বা কালদণ্ড মহা প্রীতি ও আনুগত্যের প্রতীক ৷ দশভূজার বাম হাতে থাকে গদা ৷ ধর্মরাজ যম দেবী মহামায়াকে এই অস্ত্র দান করেন ৷

খড়গ/তলোয়ার: শ্রীশ্রীচণ্ডীর বর্ণনা অনুযায়ী দেবীর আরেক রূপ চামুণ্ডা ৷ সেই দেবীর হাতে এই অস্ত্র তুলে দেন গণেশ ৷ খড়গ বা তলোয়ার বুদ্ধির প্রতীক ৷ যা দিয়ে বৈষম্য ও অশুভ শক্তিকে বিনাশ করা যায় ৷ এই অস্ত্র থাকে দেবীর ডান হাতে ৷

তীর-ধনুক: পবনদেব দেবীকে দান করেন তীর ধনুক ৷ দেবী মহামায়ার ডান হাতে থাকে এই অস্ত্র ৷ এই অস্ত্র স্থির ও অবিচল লক্ষ্যের প্রতীক ৷

সাপ: যুদ্ধক্ষেত্রে মহিষাসুর প্রতি মুহূর্তে রূপ বদলে ফেলায় তাঁকে পরাস্ত করতে পারছিলেন মহামায়া ৷ এরপরেই তিনি নাগরাজ অনন্তনাগের দেওয়া নাগপাশ ব্যবহার করে অসুরকে বন্দি করেন ৷ পুরাণ অনুযায়ী, ডানদিকের তৃতীয় হস্তে দেবীর সর্প অস্ত্র হিসাবেই স্থান পায় ৷ সর্প বিশুদ্ধ চেতনা বা শুদ্ধতার প্রতীক ৷

ঘণ্টা: দেবীর বাম হাতে থাকে ঘণ্টা ৷ যার ধ্বনিতে যুদ্ধের সূচণা হয় ৷ দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত এই অস্ত্র দেবীকে দান করেন ৷ শ্রী শ্রী চণ্ডীতে বর্ণনা করা হয়েছে, দেবী মহিষাসুরকে যুদ্ধে আহ্বান করার সময় সতর্কবার্তা স্বরূপ শাঁখ-ঘণ্টার ধ্বনি তোলেন ৷ আসলে শাঁখ-ঘণ্টার মিলিত ধ্বনিতে অশুভ শক্তির বিনাশ হয় ৷

পদ্ম, অক্ষমালা, কমণ্ডলু: ক্ষেত্রবিশেষে দেবী দশপ্রহরণধারিনীর হাতে শোভা পায় পদ্ম, অক্ষমালা, কমণ্ডলু ৷ তিন পবিত্র বস্তু দান করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা ৷ পদ্ম পাঁখে জন্মালেও সে পবিত্র ৷ আলো থেকে উত্তরনের পথের প্রতীক হল পদ্ম ৷ পাশাপাশি, অক্ষমালা, কমণ্ডলু হল পবিত্রতার প্রতীক ৷ দেবী দুর্গার ডান হাতে পদ্ম, অক্ষমালা, কমণ্ডলু ৷

হায়দরাবাদ, 3 জুলাই: মা দুর্গা দশভূজা ৷ দশপ্রহরণধারণী ৷ যিনি অভয়শক্তি দেন ৷ তিনি বলপ্রদায়িনী ৷ মা দুর্গাকে জাগানোর সময় এগিয়ে আসছে ৷ 91 দিন পরেই মাতৃপক্ষের সূচণা হতে চলেছে ৷ মহালয়া ছাড়াও প্রতিবারই মা দুর্গাকে ঘিরে নানা পুরাণ কথা জানতে-শুনতে ভালো লাগে ৷ পুজোর আগে আগে আর একবার তাই স্মৃতিতে ধার দেওয়া যাক ৷ দশভূজার দশ হাতে কী কী অস্ত্র থাকে, তার মাহাত্ম্য কী, তারই বিশ্লেষণ রইল সংক্ষেপে ৷

দেবী মূর্তির দিকে তাকালে দেখা যায়, আটটি হাতে পৃথক পৃথক অস্ত্র থাকলেও দুটি হাতে একটিই ত্রিশূল ধারণ করে দেবী মহিষাসুর বধ করছেন ৷ হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, অসুরকে বধ করতে প্রত্যেক দেবতা দেবীকে অস্ত্র প্রদান করেন, যেগুলির মাহাত্ম্যও আলাদা ৷

চক্র: শ্রীবিষ্ণু মহিষাসুর বধ করার জন্য নিজের চক্র থেকে এই চক্রের সৃষ্টি করে দুর্গাকে দান করেন ৷ এই চক্র রয়েছে দেবী দুর্গার জান হাতে ৷

ত্রিশূল: এই অস্ত্রে রয়েছে তিনটি ফলা, যার অর্থও আলাদা ৷ দেবাদিদেব মহাদেব এই অস্ত্র প্রদান করেছেন দেবীকে ৷ শাস্ত্র মতে ত্রিশূল হল ত্রিগুণের প্রতীক অর্থাৎ সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ গুণের প্রতীক ৷

শঙ্খ: শঙ্খ জাগরণের প্রতীক ৷ দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দিয়েছিলেন বরুণদেব ৷ এটি থাকে দেবী দুর্গার বাম হাতে ৷

বজ্র: দেবরাজ ইন্দ্র এই অস্ত্র দান করেন দশভূজাকে ৷ বজ্রাস্ত্র কঠোর ও সংহতির প্রতীক ৷ দেবীর বাম হাতে থাকা এই বজ্র তৈরি হয়েছিল দধীচী মুনির হাড় দিয়ে ৷

গদা: গদা বা কালদণ্ড মহা প্রীতি ও আনুগত্যের প্রতীক ৷ দশভূজার বাম হাতে থাকে গদা ৷ ধর্মরাজ যম দেবী মহামায়াকে এই অস্ত্র দান করেন ৷

খড়গ/তলোয়ার: শ্রীশ্রীচণ্ডীর বর্ণনা অনুযায়ী দেবীর আরেক রূপ চামুণ্ডা ৷ সেই দেবীর হাতে এই অস্ত্র তুলে দেন গণেশ ৷ খড়গ বা তলোয়ার বুদ্ধির প্রতীক ৷ যা দিয়ে বৈষম্য ও অশুভ শক্তিকে বিনাশ করা যায় ৷ এই অস্ত্র থাকে দেবীর ডান হাতে ৷

তীর-ধনুক: পবনদেব দেবীকে দান করেন তীর ধনুক ৷ দেবী মহামায়ার ডান হাতে থাকে এই অস্ত্র ৷ এই অস্ত্র স্থির ও অবিচল লক্ষ্যের প্রতীক ৷

সাপ: যুদ্ধক্ষেত্রে মহিষাসুর প্রতি মুহূর্তে রূপ বদলে ফেলায় তাঁকে পরাস্ত করতে পারছিলেন মহামায়া ৷ এরপরেই তিনি নাগরাজ অনন্তনাগের দেওয়া নাগপাশ ব্যবহার করে অসুরকে বন্দি করেন ৷ পুরাণ অনুযায়ী, ডানদিকের তৃতীয় হস্তে দেবীর সর্প অস্ত্র হিসাবেই স্থান পায় ৷ সর্প বিশুদ্ধ চেতনা বা শুদ্ধতার প্রতীক ৷

ঘণ্টা: দেবীর বাম হাতে থাকে ঘণ্টা ৷ যার ধ্বনিতে যুদ্ধের সূচণা হয় ৷ দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত এই অস্ত্র দেবীকে দান করেন ৷ শ্রী শ্রী চণ্ডীতে বর্ণনা করা হয়েছে, দেবী মহিষাসুরকে যুদ্ধে আহ্বান করার সময় সতর্কবার্তা স্বরূপ শাঁখ-ঘণ্টার ধ্বনি তোলেন ৷ আসলে শাঁখ-ঘণ্টার মিলিত ধ্বনিতে অশুভ শক্তির বিনাশ হয় ৷

পদ্ম, অক্ষমালা, কমণ্ডলু: ক্ষেত্রবিশেষে দেবী দশপ্রহরণধারিনীর হাতে শোভা পায় পদ্ম, অক্ষমালা, কমণ্ডলু ৷ তিন পবিত্র বস্তু দান করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা ৷ পদ্ম পাঁখে জন্মালেও সে পবিত্র ৷ আলো থেকে উত্তরনের পথের প্রতীক হল পদ্ম ৷ পাশাপাশি, অক্ষমালা, কমণ্ডলু হল পবিত্রতার প্রতীক ৷ দেবী দুর্গার ডান হাতে পদ্ম, অক্ষমালা, কমণ্ডলু ৷

Last Updated : Jul 3, 2024, 10:47 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.