পূর্বস্থলী, 30 অগস্ট: নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক। শ্লীলতাহানির পাশাপাশি পকসো আইনেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে । বছর ষোলোর ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক ঘনিষ্ঠ হয়েছেন বলে দাবি নাবালিকার পরিবারের। কপালে সিঁদুর পরিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন । ছাত্রীর মা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন । এরপরই ওই শিক্ষক গ্রেফতার হন ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী-1 ব্লকের একটি উচ্চবিদ্যালয়ের পড়ে ওই ছাত্রীটি। ধৃত শিক্ষককে শুক্রবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে 3 দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত । ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, ছাত্রীকে লেখাপড়া শিখিয়ে আইপিএস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখান শিক্ষক । সেই মতো ছাত্রীটিকে প্রায় 27 হাজার টাকা দামের একটা মোবাইল ফোন কিনে দেন তিনি। এমনকী ছাত্রীটিকে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। যাতে পরিবারের কেউ মোবাইল দেখতে না পান তাই বইয়ের একাধিক পাতা কেটে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও করে দেন ওই শিক্ষক ।
কিন্তু, দিন তিনেক আগে ছাত্রীর মা মোবাইল ফোনটি দেখতে পেয়ে যান । ভয়ে ছাত্রীটি সমস্ত ঘটনা বলে দেয়। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নাদনঘাট থানার পুলিশ শিক্ষককে গ্রেফতার করে । ছাত্রীর মা বলেন, "আমার মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। ওই শিক্ষক মাস তিনেক আগে মেয়েকে একটা দামি ফোন কিনে দেন। ফোনটা মেয়ে লুকিয়ে রাখত । শিক্ষকই বইয়ের পাতা কেটে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দেন । আমরা দিন তিনেক আগে বিষয়টি জানতে পারি । ফোনে নানা রকমের ভিডিয়ো আছে। এমনকী মেয়েকে সিঁদুরও পরিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক ।" এদিকে, ছাত্রীটি আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও করা হবে।