ETV Bharat / state

আলোর উৎসবেও কি আঁধার ঘুচবে না বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের

মেলেনি বোনাস, মেলেনি বেতন ৷ রাজ্যের রেশনেই দিন কাটছে পাহাড়ের বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের ৷ দুর্গাপুজো কেটেছে অন্ধকারে ৷ আলোর উৎসবও অন্ধকারেই কাটতে চলেছে তাঁদের ৷

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
আলোর উৎসবেও কি আঁধার ঘুচবে না বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 25, 2024, 6:15 PM IST

দার্জিলিং, 25 অক্টোবর: উত্তরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হল ‘টি, টিম্বার আর ট্যুরিজম’ । অর্থাৎ চা, বন ও পর্যটন । বাকি দু’টো স্তম্ভ স্বাভাবিক ছন্দে থাকলেও বহুদিন ধরে ধুঁকছে উত্তরের চা-শিল্প ।

উত্তরের চা-বলয়ের চা-শ্রমিকদের দুর্বিষহ পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকের কাছেই অজানা । সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি পাহাড়ের বন্ধ চা-বাগানগুলোতে । মেলেনি বোনাস, মিলছে না-বেতন । এই অবস্থায় কোনোরকম খেয়ে দিন গুজরান করছে চা-শ্রমিকদের পরিবার ।

আলোর উৎসবেও কি আঁধার ঘুচবে না বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের (ইটিভি ভারত)

দুর্গাপুজোয় যখন সমস্ত রাজ্যবাসী উৎসবে মেতে উঠেছিল, তখন এই বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের পুজোর দিন কেটেছে অনিশ্চয়তা আর অন্ধকারে । উলটে নিজেদের বোনাসের দাবিতে পুজোর দিনগুলোতেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হয়েছে শ্রমিক পরিবারগুলোকে । প্রশ্ন উঠছে, তাদের কি দেখার কেউ নেই ? কেউ কি দাঁড়াবে না তাদের পাশে ? সামনে আলোর উৎসব দীপাবলি । এই দীপাবলিও অন্ধকারে কাটতে চলেছে বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের ।

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বন্ধ চা-বাগান (নিজস্ব চিত্র)

দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে থাকা 87টি চা-বাগানের মধ্যে 11টি চা-বাগান বন্ধ রয়েছে । 2008 সাল থেকে বন্ধ রয়েছে পানিঘাটা, 2015 সাল থেকে ধোতরিয়া, 2021 সাল থেকে রঙ্গমুক ক্যাডারস, মুন্ডাকোঠি, অম্বোটিয়া, চুংথুং, নাগরি বন্ধ রয়েছে । আর চলতি 2024 সালে নতুন করে বন্ধ হয়েছে পন্দম, পেশক, সিংথাম ও লঙভিউ চা-বাগান । সব মিলিয়ে প্রায় 18 হাজার চা-বাগানের শ্রমিক অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । এখন তাঁদের ভরসা বলতে রাজ্য সরকারের রেশন । সেই রেশনের চাল দিয়েই এখন দিন কাটছে চা-বাগানের শ্রমিকদের ।

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)

বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে চা-বাগান খোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিলেন সাংসদ রাজু বিস্তা । রাজ্যের শ্রম দফতরের কাছেও আবেদন জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো ।

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)

লঙভিউ চা-বাগানের শ্রমিক আবেশ বিশ্বকর্মা বলেন, "আমাদের খুব খারাপ পরিস্থিতি । আমাদের গোটা বোনাস মেলেনি । অনেক চা-বাগানের শ্রমিকরা এক টাকাও পায়নি । গোটা পুজো আমাদের খুব খারাপ কেটেছে । এমনকি বেতনও মেলেনি । শ্রমিকরা বোনাস পেলে অন্তত দীপাবলি আমাদের সুষ্ঠমতো কাটবে ।"

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)

আরেক শ্রমিক গঙ্গা থাপা বলেন, "খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের । রাজ্য সরকারের রেশনের চাল খেয়েই দিন কাটছে । বাগান বন্ধ । গোটা পুজোটা আমাদের অন্ধকারে কেটেছে । এখন আবার আন্দোলন চলছে । অনেকে পেট চালাতে অন্য চা-বাগান কাজের জন্য চলে যাচ্ছে । আমরা চাই আমাদের বাগান খুলুক ।"

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)

দার্জিলিং, 25 অক্টোবর: উত্তরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি হল ‘টি, টিম্বার আর ট্যুরিজম’ । অর্থাৎ চা, বন ও পর্যটন । বাকি দু’টো স্তম্ভ স্বাভাবিক ছন্দে থাকলেও বহুদিন ধরে ধুঁকছে উত্তরের চা-শিল্প ।

উত্তরের চা-বলয়ের চা-শ্রমিকদের দুর্বিষহ পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকের কাছেই অজানা । সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি পাহাড়ের বন্ধ চা-বাগানগুলোতে । মেলেনি বোনাস, মিলছে না-বেতন । এই অবস্থায় কোনোরকম খেয়ে দিন গুজরান করছে চা-শ্রমিকদের পরিবার ।

আলোর উৎসবেও কি আঁধার ঘুচবে না বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের (ইটিভি ভারত)

দুর্গাপুজোয় যখন সমস্ত রাজ্যবাসী উৎসবে মেতে উঠেছিল, তখন এই বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের পুজোর দিন কেটেছে অনিশ্চয়তা আর অন্ধকারে । উলটে নিজেদের বোনাসের দাবিতে পুজোর দিনগুলোতেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হয়েছে শ্রমিক পরিবারগুলোকে । প্রশ্ন উঠছে, তাদের কি দেখার কেউ নেই ? কেউ কি দাঁড়াবে না তাদের পাশে ? সামনে আলোর উৎসব দীপাবলি । এই দীপাবলিও অন্ধকারে কাটতে চলেছে বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের ।

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বন্ধ চা-বাগান (নিজস্ব চিত্র)

দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে থাকা 87টি চা-বাগানের মধ্যে 11টি চা-বাগান বন্ধ রয়েছে । 2008 সাল থেকে বন্ধ রয়েছে পানিঘাটা, 2015 সাল থেকে ধোতরিয়া, 2021 সাল থেকে রঙ্গমুক ক্যাডারস, মুন্ডাকোঠি, অম্বোটিয়া, চুংথুং, নাগরি বন্ধ রয়েছে । আর চলতি 2024 সালে নতুন করে বন্ধ হয়েছে পন্দম, পেশক, সিংথাম ও লঙভিউ চা-বাগান । সব মিলিয়ে প্রায় 18 হাজার চা-বাগানের শ্রমিক অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন । এখন তাঁদের ভরসা বলতে রাজ্য সরকারের রেশন । সেই রেশনের চাল দিয়েই এখন দিন কাটছে চা-বাগানের শ্রমিকদের ।

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)

বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে চা-বাগান খোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিলেন সাংসদ রাজু বিস্তা । রাজ্যের শ্রম দফতরের কাছেও আবেদন জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো ।

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)

লঙভিউ চা-বাগানের শ্রমিক আবেশ বিশ্বকর্মা বলেন, "আমাদের খুব খারাপ পরিস্থিতি । আমাদের গোটা বোনাস মেলেনি । অনেক চা-বাগানের শ্রমিকরা এক টাকাও পায়নি । গোটা পুজো আমাদের খুব খারাপ কেটেছে । এমনকি বেতনও মেলেনি । শ্রমিকরা বোনাস পেলে অন্তত দীপাবলি আমাদের সুষ্ঠমতো কাটবে ।"

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)

আরেক শ্রমিক গঙ্গা থাপা বলেন, "খুব কষ্টে দিন কাটছে আমাদের । রাজ্য সরকারের রেশনের চাল খেয়েই দিন কাটছে । বাগান বন্ধ । গোটা পুজোটা আমাদের অন্ধকারে কেটেছে । এখন আবার আন্দোলন চলছে । অনেকে পেট চালাতে অন্য চা-বাগান কাজের জন্য চলে যাচ্ছে । আমরা চাই আমাদের বাগান খুলুক ।"

DARKNESS OF TEA LABOURERS LIFE
বোনাসের দাবিতে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.