বোলপুর, 20 ফেব্রুয়ারি: গাছের শোভাই শান্তিনিকেতনের পরিচয়, ঐতিহ্য ৷ শান্তিনিকেতন জুড়ে নির্বিচারে বড় বড় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ। গাছ কাটা আটকাতে পথে নামলেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য থেকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বন বিভাগ প্রাচীন গাছগুলি কাটার অনুমতি দিল কীভাবে ৷ সেই শান্তিনিকেতনে এবার গাছ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেশ কয়েক মাস ধরে শান্তিনিকেতনের সঙ্গীতভবন লাগোয়া রাস্তা রতনপল্লীর দু’টি মাঠ সংলগ্ন এলাকায় উধাও হয়ে যাচ্ছিল বড় বড় গাছ ৷ স্থানীয় গাছ মাফিয়ারা এই গাছ কাটছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বোলপুর বন বিভাগ গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে। যা নিয়ে সরব হন ঠাকুর পরিবারের সদস্য, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ৷
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে গাছের ছায়া, গাছের শোভাই হল শান্তিনিকেতনের পরিচয়, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য। সেই জায়গায় কীভাবে এই গাছ কাটার অনুমতি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। গাছ কাটা বন্ধ করতেই পথে নেমেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর৷ তারা গাছ কাটা আটকে দেন ৷ যদিও ততক্ষণে ফল ধরা বেল, আম, তাল গাছ-সহ বড় বড় গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে ৷
ঘটনা প্রসঙ্গেই ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুদৃপ্ত ঠাকুর বলেন, "দেখছেন তো শান্তিনিকেতনে কত বড় বড় গাছ কিভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে ৷ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি ৷ আমরা চাই অবিলম্বে এই গাছ কাটা বন্ধ হোক।" বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অতনু শাসমল বলেন, "এটা মেনে নেওয়া যায় না। এত প্রাচীন গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি ৷ গাছ আর কাটতে দেব না ৷" তবে গাছ কাটার ঠিকাদার রাজেশ শর্মা বলেন, "আমরা অনুমতি নিয়ে গাছ কাটছিলাম ৷ তবে সবাই যখন আপত্তি করেছে আর কাটব না। আমরা গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি।"
আরও পড়ুন: